ন্যাভিগেশন মেনু

লকডাউন কার্যকর হলে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


লকডাউন কার্যকর হলে এবং সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে খুব দ্রুতই করেনাভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (২৬ জুন) বিকেল সোয় ৩টার দিকে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে কঠোর লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। কারণ আপনারা জানেন কয়েকদিন ধরে দেশে মৃত্যুর হার অনেক বেড়ে গেছে। গতকালও ১০৮ জন মৃত্যুবরণ করেছে এবং সংক্রমণের হারও প্রায় ২২ শতাংশের কাছে চলে গেছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে রাজশাহী ও খুলনায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে। পাশাপাশি বিভাগ, জেলা এবং ঢাকা শহরেও সংক্রমণ বাড়ছে। মৃত্যুহার ও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে কঠোর লকডাউন দেওয়া হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার প্রায় ১৩ শতাংশ হয়ে গেছে। আমাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী হাসপাতালে প্রায় ৫ হাজার করোনা রোগী আছে। যখন করোনা নিয়ন্ত্রণে ছিলো তখন এর সংখ্যা ছিল এক হাজার। করোনা সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে আমরা হাসপাতালে রোগী জায়গা দিতে পারবো না এবং চিকিৎসা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন কারখানা হবে গোপালগঞ্জে। লকডাউন নয়, ভ্যাকসিন নির্ভর হতে চায় সরকার। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চিনের ভ্যাকসিনও চলে আসবে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে তিন কোটি ভ্যাকসিন ক্রয়ের চুক্তি হলেও এখন পর্যন্ত ১ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। পাশাপাশি চিনের সঙ্গে দেড় কোটি ভ্যাকসিন চুক্তি ছাড়াও কোভ্যাক্স থেকে ছয় কোটি ভ্যাকসিন বুকিং দেওয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের করোনা পরিস্থিতির সার্বিক তথ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি এই লকডাউনের নির্দেশনা দিয়েছেন। যা সোমবার (২৮ জুন) থেকে আগামী সাতদিন কার্যকর হবে। এই সাতদিন পরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। তারপরে আবার আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আমরা গতকালই কোভ্যাক্স থেকে ২৫ লাখ মর্ডানার ভ্যাকসিন পেয়েছি। এই ভ্যাকসিনগুলো দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

এমআইআর/এডিবি/