ন্যাভিগেশন মেনু

শরীয়তপুরে ২ খুনের দায়ে ২০ বছর পর ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড


শরীয়তপুরে পিপি হাবিবুর রহমান ও তার ছোট ভাই মনির মুন্সি হত্যা মামলার ২০ বছর পর ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়াও এ মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন ও তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। মামলার ৩৯ জন আসামীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২১ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত হোসাইন এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো - শাহিন কোতোয়াল, শহীদ কোতোয়াল, সফিক কোতোয়াল, মো. সোলায়মান, শহীদ তালুকদার ও মো. মজিবর।

যাবজ্জীবন দণ্ডিতরা হলো - সরোয়ার হোসেন বাবুল তালুকদার, ডাবলু তালুকদার, বাবুল খান ও টোকাই রশিদ।

এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে মন্টু তালু, জাকির হোসেন মঞ্জু ও আসলাম সরদারকে সাজা দেয়া হয়েছে। আসামীদের মধ্যে পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। যার মধ্যে দুইজন ফাঁসির দণ্ড পাওয়া।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৫ তারিখ হাবিবুর রহমানের বাসভবনে আওয়ামী লীগের সভা চলছিলো। ওই সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হেমায়েতের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ব্রাশফায়ার করে হাবিবুর ও তার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা মনির মুন্সিকে হত্যা করে।

হাবিবুর রহমান ছিলেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর তার ভাই মনির মুন্সি ছিলেন পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

পরে হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত রহমান হেমায়েতকে প্রধান আসামী করে ৫৫ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ তদন্তে হেমায়েতের নাম বাদ দিয়ে ২০০৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার বাদী আদালতে নারাজি দেন। আদালত ওই আবেদন নাকচ করে।

হেমায়েত পরবর্তী নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মামলায় নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করেন। ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট সড়ক দুর্ঘটনায় হেমায়েত মারা যান।

এরপর আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয়। ২০১৩ সালে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দেয় পুলিশ। ওই মামলার অন্য দুই আসামী শাহজাহান মাঝি ও সান কোতোয়াল মৃত্যুবরণ করেছেন।

সিবি/এডিবি