ন্যাভিগেশন মেনু

সাইক্লোন সেন্টারে চুরির সময় আটক ১০


পদ্মার ভয়াল স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত রাজরাজেস্বর ওমর আলী হাই স্কুল এন্ড সাইক্লোন সেন্টারে চুরির হিড়িক পরেছে। ভবনটির ঠিকাদার প্রতিনিধি ও ইউপি সদস্য পারভেজ রনি এবং তার ছোট ভাই সেলিম গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় হাতেনাতে ১০ চোরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

শনিবার বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪ নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইনেসপেক্টর আব্দুর রব আসামীদের আটক করে চাঁদপুর মডেল থানায় প্রেরণ করে।

আটককৃতরা হলেনঃ মো. শাহীন (৩৮), আব্দুর রহিম (২০), মানিক (১৯), ইদ্রিস খলিল (২৬), মো. জামাল গণি (১৮), ফরিদ জোয়ান (১৮), তারেক দেওয়ান (১৮), শামসুদ্দিন (১৮), মামুন (১৯), শরীফ (২০)।

এ বিষয়ে সাইক্লোন সেল্টারের ঠিকাদার প্রতিনিধি ও ইউপি সদস্য পারভেজ রনি জানান, ‘শনিবার বিকেলে আমি এবং আমার ছোট ভাই সেলিমসহ কয়েকজন মিলে ভবনটির কি অবস্থা তা দেখতে যাই। এসময় দেখতে পাই একদল লোক সাইক্লোন সেন্টারের জানালার থাইগ্লাসগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছে। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় চোরদের ঘেরাও করে ফেলি।’

তিনি বলেন, ‘তাদের আটকের পর বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী, স্থানীয় মেম্বার, ওরম আলী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সদর উপজেলার মাননীয় নির্বাহী কর্মকর্তা, এবং পিআইও এবং মডেল থানার ওসি সাহেবকে ফোন করে জানাই। পরে এলাকাবাসী মিলে চোরদের লক্ষীচর বাজারে এনে আটকে রেখে রাত ৯টায় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’

এলকাবাসীর দাবী এমন দূর্যোগের দিনে যারা এমন অমানবিক কাজ করতে চেয়েছিলো তাদের যেনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত দু’সপ্তাহ ধরে উত্তরাঞ্চল থেকে নেমে আসা বন্যার পানির প্রবল স্রোতে নদীবেষ্টিত রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের পদ্মা-মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। তীব্র নদী ভাঙনে এখন পর্যন্ত ৪টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এছাড়া প্রায় ৪শতাধিক বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে আরো প্রায় ৫শ’ বাড়িঘর ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।

এমআইআর/ওআ