নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার পরকোর্ট ইউনিয়নে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে গৃহশিক্ষকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- গৃহশিক্ষক ফারাবি আহম্মেদ ফয়েজ, তার বাবা রুহুল আমিন ও ভাই দিপু।
পুলিশ মামলার বরাত দিয়ে জানায়, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ওই ছাত্রীকে পড়াতেন ফয়েজ। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ওইছাত্রীকে নানা সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসে ফয়েজ।
গত দুই বছর যাবত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে গৃহশিক্ষক ফয়েজ। সবশেষ গত ৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে কৌশলে নিজের ফুফুদের রান্না ঘরে নিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করে।
এ সময় ছাত্রীর চিৎকার পেয়ে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে ফয়েজকে আটক করে। পরে স্থানীয়ভাবে মিমাংশা করার চেষ্টা করলে বিয়ে করার শর্তে ফয়েজকে নিয়ে যায় তার পরিবারের সদস্যরা।
কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ে না করে উল্টো হুমকি দিতে থাকে ফয়েজের পরিবারের লোকজন। বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার রাতে প্রথমে থানায় মৌখিক অভিযোগ এবং বুধবার সকালে লিখিত মামলা দেন ছাত্রীর বাবা।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে তিনজনকে আটক করা হয়। বুধবার এ ঘটনায় লিখিত মামলা দিলে আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
ডিএ/সিবি/ এস এস