ন্যাভিগেশন মেনু

৩৩৩-এ ফোন করে খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন গুরুদাসপুরের ৩৩৬ পরিবার


পরিবারে অভাব। তার ওপর ক্ষুধার কষ্ট। কিন্তু আত্মসম্মানের কারণে অন্যের কাছে হাত পাততে সংকোচবোধ। উপায়ান্ত না দেখে জাতীয় তথ্যসেবা নম্বর ৩৩৩-এ ফোন করেন তারা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মোবাইল ফোনে এসএমএস পেয়ে যাচাই করে, প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসামগ্রী উপহার নিয়ে হাজির হন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তমাল হোসেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ছয়দিনে গুরুদাসপুর পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ৩৩৬টি পরিবার ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে খাদ্যসহায়তা চেয়েছিল।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন জানান, 'মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পেরে খোঁজখবর নিয়ে, পৌরসভাসহ ওই সকল ইউনিয়নগুলোতে ৩৩৬টি পরিবারকেই খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে শুধু বুধবার ৩০ জুন ১০৪টি পরিবার খাদ্যসহায়তা চেয়েছেন।'

তিনি বলেন, 'ফোনকল বেড়ে গেলে উপজেলা প্রশাসনের বাছাই করা স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব দেওয়া হয় এসএমএস এন্ট্রি করার জন্য। পর্যায়ক্রমে তালিকা ধরে তার নেতৃত্বে যাচাই করে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এসব পরিবারে। পরিবারগুলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসহায়তা তহবিল থেকে ১০ কেজি করে চাল, ডাল ও তেলসহ খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।'

নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন বলেন, অতিবৃষ্টি ও করোনা পরিস্থিতিতে এসব পরিবারের কর্মক্ষম মানুষগুলো কাজে বের হতে পারেননি। তাছাড়া সরকারের গৃহীত নানা কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত। কর্মমুখী এসব পরিবারগুলো গরিব হলেও আত্মসম্মানের কারণে অন্যের কাছে হাত পাততে পারেননি। অনেকটা নিরুপায় হয়েই তারা ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্যসহায়তা চেয়েছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পরিবারকে অতি গোপনে রাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে অন্য পরিবারগুলোকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 

এ সকল কাজে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আবু রাসেল সব সময়ই পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ৩৩৩-এ খাদ্যসহায়তা চাওয়া পরিবারগুলোকে সরকারের গৃহীত কর্মসূচির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

এএস/এসএ/এডিবি/