ন্যাভিগেশন মেনু

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজেই ফিরবেন ২৩ নাবিক, দেশে আসবে আগামী মাসে


সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দরের বার্থিং করছে। এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকরা জাহাজে করেই বাংলাদেশ আসছেন বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম

তিনি বলেন, জাহাজের সকল নাবিক সুস্থ আছেন। ২৩ নাবিকের মধ্যে দুইজনের বিমানে দেশে আসার কথা থাকলেও এখন সকলে জাহাজে করে বাংলাদেশ আসছেন।

আবদুল্লাহ জাহাজের মালিক কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত ও কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম নাবিকদের সাথে আলিঙ্গন করেন। নাবিকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেও অনেকে আনন্দে চোখের পানি ছেড়ে দেন।

জাহাজ থেকে পাঠানো এক ভিডিওতে দেখা যায়, সকল নাবিকরা জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির সাথে গ্রুপ ছবি তুলছেন। একে অপরের সাথে আলিঙ্গন করছেন।

এর আগে জাহাজটি সোমবার বিকেলে বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছিল। এখন জাহাজটিতে মোজাম্বিক থেকে আনা ৫০০ টন কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। খালাস হতে ৫-৭দিন সময় লাগতে পারে। খালাসের পর জাহাজটি নতুন কার্গো ভর্তি করার পর চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। আগামী মাসের ১০-১২ তারিখের মধ্যে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে পারে।

এর আগে, রোববার এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল। কিন্তু বন্দরে জায়গা না থাকায় জাহাজটির বন্দরে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। সোমবার রাতে জাহাজ বন্দরে ভেড়ার পর নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর ও জাহাজ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা।

কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, তারা চাইলে বাইরে আসতে পারবেন না। আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনও তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে।

এদিকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজে ‍উঠে অস্ত্রের মুখে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি করে জাহাজটি। গত ১৩ এপ্রিল ভোর ৩টায় সোমালিয়ান দস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিক। দস্যুদের ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুক্তিপণ হিসেবে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।