দেশে প্রথমবারের মত চালু হল সর্বজনীন পেনশন স্কিম
চার শ্রেণির নাগরিককে টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সুরক্ষা দিতে দেশে প্রথমবারের মত চালু হল সর্বজনীন পেনশন স্কিম।বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘শেষ বয়সে কেউ যেন পরিবারে কাছে বোঝা না হয়, তাদের সুরক্ষা দিতেই সর্বজনীন পেনশন স্কিম।‘তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরিজীবীরা এই পেনশন পাবেন না। কারণ, তারা তো চাকরি শেষে কিছু টাকা পান, কিন্তু এর বাইরের জনগোষ্ঠী সর্বজনীন পেনশন পাবেন। সমাজের সবারই কিছুটা হলেও আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকা উচিত। সেজন্যই সর্বজনীন স্কিম। এর মাধ্যমে সমাজে বৈষম্য দূর হবে।‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রস্তুত করতে অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে। দেশের সব মানুষের জন্য এই পেনশন স্কিম চালু করতে পারা নিঃসন্দেহে বড় উদ্যোগ। ইতিমধ্যে মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে, দারিদ্র্যের হার কমেছে, ঠিকানাবিহীন মানুষের সংখ্যা কমছে।শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ যা অঙ্গীকার করে, তা বাস্তবায়ন করে দেখায়। সর্বজনীন পেনশন স্কিম তার প্রমাণ।” শুরুতে চার শ্রেণির ব্যক্তি পেনশন কর্মসূচির আওতায় আসছেন। তারা হচ্ছেন- প্রবাসী বাংলাদেশি, বেসরকারি চাকরিজীবী, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মী ও অসচ্ছল ব্যক্তি।এর মধ্যে প্রবাস স্কিম শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। যেসব প্রবাসীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের আবেদন করতে পারবেন।প্রগতি স্কিম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কর্মচারী বা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক এতে অংশ নিতে পারবেন।অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা যেমন- কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেল, তাঁতিরা অংশ নিতে পারবেন সুরক্ষা স্কিমে।আর দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা (যাদের বর্তমান আয়সীমা বছরে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা) সমতা স্কিমে অংশ নিয়ে পেনশনের আওতায় আসতে পারবেন।এসব স্কিমের চাঁদার কিস্তি পছন্দ অনুযায়ী মাসিক, ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা যাবে। চাঁদা দেওয়ার সময়ের ভিত্তিতে চারটি স্কিমের জন্যই মাসিক চাঁদার পরিমাণ এবং পেনশনের পরিমাণ আলাদা আলাদাভাবে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া, সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতাভুক্ত হলে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছর বয়স্ক একজন সুবিধাভোগী নূন্যতম ১০...