ন্যাভিগেশন মেনু

অব্যাহত নারী ও শিশু ধর্ষণের বিচার নিশ্চিত করতে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন

সারাদেশে অব্যাহত নারীও শিশু ধর্ষণ, নারীর প্রতি সংহিসতা ও গনধর্ষণের মতো জঘন্যতম কর্মকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ৭ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন। 

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে চোখে কালো কাপড় বেঁধে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা  এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

উক্ত মানবন্ধনে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে বশেমুরবিপ্রবি'র সাধারন শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবির মধ্যে প্রথম দফা হলো ধর্ষণ আইন পুনঃবিবেচনার মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় দফা হলো ধর্ষণজনিত ঘটনা বা অপরাধের জন্য আলাদা দ্রুত বিচার ট্রাইব্রুনাল গঠন এবং ৩০-৬০ কার্যদিবসের মাঝে বিচার সম্পন্ন করার প্রক্রিয়া তৈরী করা এবং শেষ দফা ছিলো দলীয় মদদে কোনো ধর্ষককে বা কোন অপরাধকে আশ্রয় দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

উক্ত কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। মানববন্ধনে সারাদেশে নারীদের প্রতি সব ধরনের নিপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।

অংশগ্রহণকারী আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফ আহমেদ বলেন, 'যে ঘটনাগুলো মিডিয়াতে আসে, ভাইরাল হয়, শুধু সেই ঘটনাগুলো নিয়েই আন্দোলন হয়। আরও ঘটনা ঘটে, যেগুলো আদালাতে ঝুলতে থাকে। আলোচিত-অনালোচিত সব ঘটনার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।

এ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা বলেন, 'সম্প্রতি সময়ে সারাদেশে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি ধর্ষণের ঘটনা শেষ না হতেই অন্য একটি ঘটনা সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাঘাট, বাজার, কর্মস্থল ও বাড়ি-ঘরে কোথাও বর্তমানে নারী-শিশুরা নিরাপদ নয়। স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। পিতার সামনে থেকে মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। অবুঝ শিশুকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছে গেছে। এই সামাজিক অপরাধ থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে হলে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। ধর্ষণ একটি জঘন্যতম ঘটনা। দ্রুত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও ধর্ষিতাকে সরকারিভাবে চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করুন'।

সিবি/এডিবি