ন্যাভিগেশন মেনু

আত্মসমর্পণ করলেন ওসি প্রদীপ কুমার


সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাস আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছেন। তাকে চট্টগ্রাম থেকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাকে কক্সবাজার আদালতে নেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

এর আগে বুধবার রাত ১০টায় টেকনাফ থানায় আদালতের নির্দেশে এ ঘটনায় মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার করা মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।

এ হত্যা মামলায়, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর লিয়াকতকে প্রধান আসামি ও টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে দ্বিতীয় আসামি করে আরও ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মেজর সিনহাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের সিনিয়র আইনজীবী ও বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, আইন অনুসারে এসব মামলা নথিভুক্ত হলেই আসামিদের গ্রেপ্তার ক্ষমতা রাখেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আর তাই সেই হিসেবে যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ মামলার আসামি বাকি ৯ পুলিশ সদস্য।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন - বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।

উল্লেখ্য, ৩১ আগস্ট (শুক্রবার) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

ওয়াই এ/এডিবি