ন্যাভিগেশন মেনু

ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে আড়াইশ’ কোটি টাকার প্রকল্প


‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা‘ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে এ প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ২৪৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। 

২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ইলিশ উৎপাদন হয় ৫ লাখ ১৭ হাজার মে. টন। এবারে লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৫ লাখ মে. টন হলেও আরও ব্যাপকভাবে আইন প্রয়োগ করে মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণের মাধ্যমে চলতিবছর সরকার ৬ লাখ মে. টন ইলিশ উৎপাদন করতে চায়।

প্রকল্পের আওতায় মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে মৎস্য সংরক্ষণ আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। ৩০ হাজার জেলে পরিবারের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। জেলেদের ১০ হাজার বৈধ জাল বিতরণ ও প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় ইলিশের ৬টি অভয়াশ্রমে সুরক্ষা দেওয়া হবে। নিম্ন মেঘনা নদী, তেঁতুলিয়া নদী, আন্ধারমানিক নদী, নিম্ন পদ্মা নদীতে নির্দিষ্ট সময়ে মা ইলিশ আহরণ বন্ধ করা হবে। ইলিশ মাছ বাংলাদেশের প্রায় সব প্রধান নদ-নদী, মোহনা এবং উপকূলে ডিম ছেড়ে থাকে। তবে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ইলিশের চারটি প্রজননক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলোতে পাহারা দেওয়া হবে।

চাঁদপুরে কর্মরত দেশের খ্যাতনামা ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান বৃহস্পতিবার তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ‘ইলিশ গবেষণাসহ অন্যান্য উন্নয়নে ও ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার ওই পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। চাঁদপুরে প্রায় ৪০ হাজার মে. টন ইলিশ জাতীয় উৎপাদনের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে।’

প্রসঙ্গত, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নতুন করে প্রায় আড়াইশ’ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশে সারাবছরই ইলিশ পাওয়া যাবে। নানা ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে দেশে ইলিশের উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে। উৎপাদন আরও বাড়িয়ে সব মানুষের কাছে ইলিশ তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চায় সরকার।

এমআইআর/ এডিবি