ন্যাভিগেশন মেনু

ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্টে বন্দরে গতি আসবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী


ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হওয়ার মধ্য দিয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা ব্যাক্ত করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, এর ফলে স্বচ্ছতা বাড়বে, হয়রানি কমে আসবে। সেবার মানও অনেক বাড়বে।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) অনলাইনে স্থলবন্দরে ‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ উদ্বোধনকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থলবন্দর। এটা একটা সূচনা। বাকি স্থলবন্দরগুলোকেও এই ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার বিষয়ে বলা হচ্ছে। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানাবো।’

একসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) সহায়তার এই সফটওয়্যারটি চালু করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে এটুআই-এর ডিজিটাল সার্ভিস এক্সিলারেটরের চিফ ই-গভর্নেন্স স্ট্রাটেজিস্ট ফরহাদ জাহিদ শেখ সফটওয়্যারটি সম্পর্কে বিশদ আলোচনায় বলেন, ‘এই ব্যবস্থায় আমদানি ও রপ্তানিকারকরা বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। ই-পোর্ট মোবাইল অ্যাপস, স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমদানি করা পণ্য বন্দরে প্রবেশের তথ্য, পণ্যের ওজনের তথ্য ও তৎক্ষণাৎ ইমেইলে পাঠানোর ব্যবস্থা থাকবে। আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট পোর্টাল, পণ্য পোস্টিং ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রসেস করা বিলের তথ্য পাওয়ার সুবিধা বিরাজমান আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্টদের জন্য আলাদা আলাদা গ্রাহক পোর্টাল থাকলে সেখানে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আমদানি করা পণ্যের বিল, পণ্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি দেখা ও ট্র্যাকিং করার সুযোগ থাকবে। বন্দরের বিলিং সিস্টেম সম্পূর্ণ জেনারেটেড থাকবে, এতে ম্যানুয়াল বিল তৈরি ও গরমিলের কোনও সুযোগ নেই। আমদানি করা পণ্য বন্দরের শেড ইয়ার্ডে পোস্টিংয়ের তথ্য তাৎক্ষণিক আমদানিকারকের কাছে এসএমএস বা ই-মেইলের মাধ্যমে চলে যাবে।’

‘প্রতিটি শেডকে গ্রাফিক্যাল ভিউয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, এর মাধ্যমে শেডের রিয়েল টাইম পণ্যের অবস্থাও জানা যাবে। গেইটে সিস্টেম জেনারেটেড বারকোড গেট পাস রয়েছে। এতে বন্দরের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। আমদানি ও রফতানিকারকদের অনলাইনে পণ্য ডেলিভারির জন্য আবেদনের সুযোগ পাবে।’

আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ড এফ অ্যাজেন্টরা বন্দরের বিল, মাশুল, চার্জ মোবাইল ও অনলাইন ব্যাংকিং এবং ডেভিড-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবে বলেও জানান ফরহাদ জাহিদ।

স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এস এম তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লালমনিরহাটের সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল মান্নান, আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সওদাগর, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান (রাসেল) প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এস এ /এডিবি