ন্যাভিগেশন মেনু

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দফায় দফায় হামলা, আরও ১ রোহিঙ্গা খুন


কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দফায় দফায় হামলার ঘটনায় মোহাম্মদ ইয়াছিন (২৪) নামের আরও এক রোহিঙ্গা যুবক খুন হয়েছেন। 

ইয়াছিন কুতুপালং ডি-৪, ২ ওয়েষ্ট ক্যাম্পের মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে। 

রবিবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে আনাস ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে  সংঘর্ষের ঘটনায় ওয়েষ্ট ডি-ব্লকে ৪ থেকে ৫ শত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দা, লাঠিসোটা নিয়ে ক্যাম্পের শতাধিক ঝুপড়িঘর ও ৫০টি দোকান ভাংচুর করেছে বলে জানিয়েছেন হেড মাঝি মোঃ ওসমান।

কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান হাফেজ জালাল আহমদ জানান, আনাস গ্রুপ ও মুন্না গ্রুপের মধ্যে সংঘটিত ঘটনায় প্রাণ বাঁচাতে কয়েকশ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু কুতুপালং ক্যাম্প ছেড়ে অন্য ক্যাম্পে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে বলে রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন।

এদিকে গত ৫ দিনের ঘটনায় ক্যাম্পে ১ নারীসহ ৪ জন খুন হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৫ জনের বেশি রোহিঙ্গা নারী,পুরুষ ও শিশু। এ নিয়ে ক্যাম্পে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে দু'গ্রুপের মধ্যে হামলা,ভাংচুর, গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে বলে রোহিঙ্গা মাঝি মোঃআয়ুব খান জানিয়েছেন।

এ ছাড়াও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা খুন, ধর্ষণ, মাদক পাচার, অস্ত্র ও স্বর্ণ ব্যবসায় মতো অসংখ্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। 

বিশেষ করে মাদক ও অস্ত্র ও স্বর্ণ ব্যবসা নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিরাতে ক্যাম্পগুলোতে শোনাযায় গুলির শব্দ।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়জিত ১৪ এপিবিএনের উপ-পরিদর্শক ইয়াসিন ফারুক জানান, নতুন এবং পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে খুনের ঘটনাগুলো ঘটছে।

এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদের বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আরও এক রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সে জানিয়েছেন।

এডিবি/