ন্যাভিগেশন মেনু

উহানে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বেইজিংকে চিঠি ঢাকার


চিনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেখান থেকে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের দেশে আনার জন্য বেইজিংকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তৎপরতাও শুরু করেছে ঢাকায় বিদেশ মন্ত্রকয়।

 চিনের উহান প্রদেশে ‘অজানা’ ভাইরাস রোধে বাংলাদেশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন বলেছেন, উহান প্রদেশে থাকা বাংলাদেশি পাঁচশ শিক্ষার্থী ফিরতে চাইলে বিমান প্রস্তুত রয়েছে।

মোমেন বলেন, আমরা চিন সরকারের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা দুই সপ্তাহ অর্থাৎ ১৪ দিন তাদের পর্যবেক্ষণ করবে। এই দু’সপ্তাহ এই প্রদেশে কোনো বিদেশিকে প্রবেশ ও বেরোতে দেবে না। সুতরাং দুসপ্তাহ পর্যবেক্ষণ শেষে তারা সিদ্ধান্ত জানালে আমরা বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত রয়েছি।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ‘ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য থার্ড পেরিওডিক রিভিউ অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা চিনে বাংলাদেশিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। বিদেশ মন্ত্রণালয় একটি ওয়েব পেইজও খুলেছে। চিন ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কেউ এলে পর্যবেক্ষণ রাখবো। বিমানবন্দরে আমরা তাদের ঠিকানা নেবো।

কোথায় অবস্থান করবে, সে তথ্যও নেওয়া হবে। চিন ভ্রমণে বাংলাদেশিদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, এটা অজানা এক ভাইরাস। এখনো এ রোগের কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তাই চিন ভ্রমণে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছি।এদিকে উহানে থাকা বিদেশি নাগরিকদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই এলাকা থেকে বের হতে দেবে না চিন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্র আরো জানায়, চিন থেকে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। সে লক্ষ্যে বেইজিংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ফিরতে আগ্রহীদের তালিকাও করা হচ্ছে সরকারি তরফে। এদিকে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) চিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা ভাইরাস  আক্রান্ত এলাকা উহান থেকে  আগামী দুই সপ্তাহ কোনো বিদেশি নাগরিককে ছাড়বে না দেশটি।

একইসঙ্গে সেখানে কোনো বিদেশিকে প্রবেশেও অনুমতি দেওয়া হবে না। ভাইরাস প্রতিরোধ করার লক্ষ্যেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটি। বিদেশ মন্ত্রক জানায়, চিনে কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি এখনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। চিনের উহানে ৩ থেকে ৪শ’ বাংলাদেশি রয়েছেন।

 বেইজিংয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজ খবর রাখছে।

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ীও এখনো কোনো বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে একটি হটলাইন খোলা হয়েছে।   

এস এস