ন্যাভিগেশন মেনু

ঋণখেলাপি নুরজাহান গ্রুপের এমডি রতনকে আদালতে সোপর্দ


দেশের শীর্ষস্থানীয় ঋণখেলাপি নূরজাহান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জহির উদ্দিন আহমেদ রতনকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকা মহানগরের ভাটারা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেন কোতোয়ালি থানা পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. নূরুল বাশার।

জহির উদ্দিন আহমেদ রতন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ম্যারিন ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তাসমিন প্রপার্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মেসার্স খালেক অ্যান্ড সন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মারবীন ভেজিটেবল অয়েলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাসমির সুপার অয়েল লিমিটেড এবং তাসমিন প্রপার্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি জহির উদ্দিন আহমেদ রতন কোতোয়ালি থানাধীন রামজয় মহাজন লেনের ওসমান মঞ্জিলের হাজী আব্দুল খালেকের ছেলে। 

কোতোয়ালি থানার জানায়, নূরজাহান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমেদ রতনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সিএমপির কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ, পাহাড়তলী ও খুলশী থানায় মোট ২৬টি সিআর সাজা ও ৩৫টি সিআর গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সর্বমোট ৬১টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

তিনি গত ২০১১ সাল থেকে অগ্রণী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলার শুনানি শেষে আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদানসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালত আসামিকে দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেন। সাজা থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলেন।

চট্টগ্রাম অর্থ ঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নূরজাহান গ্রুপের এমডি জহির আহমেদ রতনের বিরুদ্ধে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আছে। তিনি দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপিদের একজন। রতন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভোগ‍্যপণ্য ব‍্যবসা করতেন। ২০১১-২০১৩ সালে এসব ঋণ নিয়েছিলেন। অগ্রণী ব‍্যাংক, জনতা ব‍্যাংক, কমার্স ব‍্যাংক, সাউথ ইস্ট ব‍্যাংকসহ আরও বিভিন্ন ব‍্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেননি। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা চলমান রয়েছে। অর্থঋণ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ দেশ ত‍্যাগের নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছেন।