ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ভারত সফর গিয়েছেন।
শুক্রবার সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে দক্ষিণ এশিয়ার সংযোগ-সৌহার্দ্যের লক্ষ্যে চার দফা প্রস্তাব দিয়েছেন শেখ হাসিনা ।
আজ শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক দুপুরে শুরু হয়। এই বৈঠকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। আশা করা হচ্ছে বৈঠকে ছয় থেকে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
শেখ হাসিনার ভারত সফরের ফলাফল কেমন হতে পারে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে মনোযোগ দিচ্ছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেন, আমরা আশা করছি পরিবহণ, সংযোগ, সক্ষমতা অর্জন ও সাংস্কৃতিক খাতে ছয় থেকে সাতটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। দুই নেতা যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের’ খবরে বলা হয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষর ও প্রকল্প উদ্বোধন ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে তিস্তার পানি বন্টন ও রোহিঙ্গা ইস্যুও আসবে। এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক জোরালো করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
দিল্লির হায়দারাবাদ হাউসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় ভোজ অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এছাড়াও রবিবার কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন শেখ হাসিনা। এরপর চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে তার।
সোমবার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ভারত ত্যাগের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
একই ধরণের সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন
ওয়াই এ / এস এস