ন্যাভিগেশন মেনু

এন্ড্রু কিশোর নেই মনে হলেই ভেতরটা হাহাকার করে: হানিফ সংকেত


বাংলা গানের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৬ জুলাই )।  দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০২০ সালের আজকের দিনে সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। সংগীতাঙ্গনে তার শূন্যতা কখনো পূরণ হবে না।

এন্ড্রু কিশোর জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে নিয়মিত গান গাইতেন। অনুষ্ঠানটির রচয়িতা, পরিচালক ও উপস্থাপক হানিফ সংকেতের ছিল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। দীর্ঘ ৪০ বছরের চেনাজানা। গত বছর প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছিলেন হানিফ সংকেত।

বিশেষ এই দিনে তাই বন্ধুকে স্মরণ করতে ভোলেননি হানিফ সংকেত। তিনি তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

তাতে লিখেছেন, ‘দেখতে দেখতে একটি বছর হয়ে গেলো কিশোর নেই। বিশ্বাস করতে মন চায় না, অথচ এটাই সত্যি। এন্ড্রু কিশোর-বাংলা গানের ঐশ্বর্য। যার খ্যাতির চাইতে কণ্ঠের দ্যুতি ছিল বেশি। যার কাছে গানই ছিল জীবন-মরণ, গানই ছিল প্রাণ। এই গানের জন্যই কিশোর পেয়েছে প্লেব্যাক সম্রাটের উপাধি। গানের জন্যই মানুষ তাকে ভালোবাসতো। অবশেষে মরণব্যাধি ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে গত বছরের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেয় সবার প্রিয় এন্ড্রু কিশোর।’

বন্ধুত্বের গভীরতার কথা জানিয়ে হানিফ সংকেত লিখেছেন, ‘কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারতো, তেমনি মানুষের সঙ্গেও প্রাণ খুলে মিশতে পারতো। সবসময় নিজের সুবিধার চাইতে অন্যের সুবিধার দিকেই দৃষ্টি ছিল তার বেশি। কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। এক সঙ্গে অনেক আড্ডা দিয়েছি, বহুবার বিদেশে গেছি, এক সঙ্গে থেকেছি। কিশোর ছিল ইত্যাদি’র প্রায় নিয়মিত সংগীত শিল্পী। কিশোর নেই মনে হলেই ভেতরটা হাহাকার করে উঠে। এন্ড্রু কিশোর ছিল একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ। যার তুলনা সে নিজেই। কিশোর তার গানের মাধ্যমেই বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বন্ধু যেখানে থাকো ভালো থেকো। শান্তিতে থেকো।’

ওআ/