ন্যাভিগেশন মেনু

করোনাকালে দেশে ফিরেছে ৪০৮৪০৮ কর্মী


করোনাকালীন সময়ে ২০২০ সালের এপ্রিল হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ফিরে এসেছে ৪ লাখ ৮ হাজার ৪০৮ জন প্রবাসী কর্মী।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সংসদ অধিবেশনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিন সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের এক প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ফেরত আসা প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে ৪৯ হাজার ৯২৪ জন নারী কর্মী। ফেরত আসা কর্মীদের মধ্যে কর্মহীন হয়ে ফেরত আসা কর্মী যেমন রয়েছে তেমনি চুক্তির মেয়াদ শেষে স্বাভাবিক নিয়মে দেশে ফেরত আসা কর্মী রয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে সমস্যায় থাকা কর্মীদের কর্মসংস্থান তথা পুর্নবাসনের জন্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সম্ভাব্য দেশে সমস্যাগ্রস্থ কর্মীদের দেশে যেনো ফেরত আসতে না হয় সে লক্ষ্যে আপৎকালীন আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে দূতাবাসের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।

করোনার কারণে চাকরিচ্যুত বা অন্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদেশে প্রত্যাগত কর্মীদের এবং প্রবাসে করোনায় মৃত্যূ কর্মীর পরিবারের উপযুক্ত সদস্যকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিনিয়োগ ঋণ প্রদানের জন্য অনার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল হতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে, এবং প্রত্যাগত কর্মীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সরকার হতে ৫০০ কোটি টাকার সর্বমোট ৭০০ কোটি টাকা ঋণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত উল্লেখিত ২০০ কোটি টাকা হতে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে মোট ৭৭১ জনকে এবং ৫০০ কোটি টাকা হতে পুরুষ কর্মীদের ৯ শতাংশ এবং মহিলা কর্মীদের জন্য ৭ শতাংশ সুদে এ পর্যন্ত এক হাজার ২৩ জন  বিদেশি ফেরত কর্মীকে ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। দেশের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ৭১টি শাখার মাধ্যমে এই ঋণ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, আইওএম-এর সহায়তায় প্রত্যাগত বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য পৃথক ডাটাবেজ প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলা হতে দুইজন করে সর্বমোট ১২৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রত্যাগত কর্মীদের নিবন্ধনের বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

এ ছাড়াও তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার বিভিন্ন এনজিওর সহায়তায় উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে ফেরত আসা এসব নারী কর্মীদের পুর্নবাসনের লক্ষ্যে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদেশ কর্মী প্রেরণকারী রিক্রুটিং অ্যাজেন্সি অফিস পরিচালনার সচল রাখা এবং কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করতে পারে সে লক্ষ্যে তাদেরকে আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হয়। রিক্রুটিং অ্যাজেন্সির আবেদনের প্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত ৫৩৪ রিক্রুটিং অ্যাজেন্সিকে এক বছরের জন্য জামানতের অর্থ বিনা সুদে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।

সিবি/এডিবি