ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা রোধে সংক্ষিপ্ত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি


মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ি করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রতিরোধে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক আতাউল গনি।

গত ১৩ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ি ১৪ এপ্রিল মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভায় এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক আতাউল গনি জানান, করোনা ক্রান্তিকালীন সময়ে সংক্ষিপ্ত এ কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও তিন উপজেলায় তিনটি তোরণ নির্মাণ।

এদিকে তিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর তোরণ নির্মাণের দায়িত্বে থাকবেন।

কর্মসূচি অনুযায়ি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি।

এছাড়া মেহেরপুর জেলা পুলিশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সংগঠন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, অন্যান্য দফতরের প্রতিনিধিরা সুবিধাজনক সময়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নেয়।

এ অনুষ্ঠানে ষোষিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিলে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সরকারের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। কিন্তু তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তাজউদ্দীন আহমদ।

মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং দেশ-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলা ও সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রে এই সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরে বৈদ্যনাথতলার নামকরণ করা হয় মুজিবনগর।

ওয়াই এ/ এডিবি