ন্যাভিগেশন মেনু

কালুরঘাট সেতু নির্মাণে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সাথে ঋণচুক্তি জুন মাসে


চট্টগ্রাম নগরের সাথে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে কালুরঘাট সেতু। মেরামতের জন্য গত বছরের ১ আগস্টে সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করা হয়। শীঘ্রই মেরামত কাজ শেষ হতে পারে। এই সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। সেতুর বিকল্প হিসেবে ফেরির মাধ্যমে যানবাহন পারাপার হতে হচ্ছে। সেজন্য সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় রেল কর্তৃপক্ষ।

১৯৩০ সালে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয় ৭০০ গজ দীর্ঘ কালুরঘাট রেল সেতু। ১৯৫৮ সালে এ সেতু সব ধরনের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতুটি বহু বছর ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ। কক্সবাজারের পথে রেল চালু হওয়ার পর এই সেতুর গুরুত্ব বেড়েছে।

প্রায় শতবর্ষী এই সেতুর স্থলে আরেকটি নতুন রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে বোয়ালখালী উপজেলার বাসিন্দারা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আলাদা ট্রেন চালুর দাবিও জানিয়ে আসছে চট্টগ্রামের মানুষ।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেছেন, কালুরঘাট সেতু নির্মাণে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণচুক্তি হতে যাচ্ছে আগামী জুন মাসে। চুক্তি হবার পরে সেতু নির্মাণের আনুসাঙ্গিক কাজ শুরু হবে।  

শনিবার দুপুরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, কালুরঘাট সেতু নির্মাণের জন্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এতে জিওবি ফান্ড ৪ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি টাকা দেবে দাতা সংস্থা। এ নিয়ে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সাথে আগামী জুনে সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি করতে হবে। সম্প্রতি আমরা দাতা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি।

সাহাদাত আলী বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর দাবি বিবেচনায় নিয়েই টাইম-টেবিলে দুটি ট্রেন রাখা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কিছু হিসাব-নিকাশ আছে। দৈনিক কত যাত্রী যায়, আমরা কয়টা ট্রেন চালাতে পারি- এসব। আমরা জানি এই রুটে ট্রেন চালু হলে মানুষের কষ্ট কম হবে। রেলওয়ের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। সমস্যা হচ্ছে জনবল ও ইঞ্জিন সংকট। তবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আমরা ট্রেন চালাতে পারবো। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের কনটেইনারবাহী একটি ট্রেন কম চালাতে হবে। কারণ হচ্ছে- আমার ইঞ্জিন আছে, বগি আছে, কিন্তু ড্রাইভার নেই। আমরা নিয়োগ দিচ্ছি- কিন্তু অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে প্যানেল সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। চুক্তিতেও পুরোনো লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।  

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নিয়মিত ট্রেন চালুর বিষয়টি রেলওয়ের এক নম্বর প্রায়োরিটিতে রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন দিতে হবে। এটা এক নম্বর প্রায়োরিটি। এই রুটে ট্রেন চালুর ডিমান্ডে আমাদের কোনো না নেই।