ন্যাভিগেশন মেনু

চাটমোহর পৌরসভা নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমুখী


পাবনায় প্রথম ধাপে চাটমোহর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে কাজ করছেন। একই অবস্থা বিএনপি শিবিরেও। এ কারণে স্বস্তিতে নেই দলীয় কোন মেয়র প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ফুরফুরে আমেজে। তবে বসে নেই কোন প্রার্থী।

ভোর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা।

১৯৯৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গঠিত চাটমোহর পৌরসভার প্রথম প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। ওই সময় তৎকালীন চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লোকমান আহমদ প্রশাসক হিসেবে চাটমোহর পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেন।

এরপর ২৩ বছর পার হয়েছে কিন্তু বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় কোন প্রার্থী মেয়র নির্বাচিত হতে পারেনি। তিনবার বিএনপি এবং দুইবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান/মেয়র নির্বচিত হন।

এ বছর আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আগের ধারা ভেঙ্গে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী (নৌকা) অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো মেয়র পদে জয়ী হতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

অপরদিকে বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (সদ্য দল থেকে অব্যহতিপ্রাপ্ত) মির্জা রেজাউল করিম দুলাল (জগ প্রতীক) বিগত সাড়ে ৬ বছরে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে চাটমোহর পৌরসভার প্রথম মেয়র প্রফেসর আব্দুল মান্নান (মোবাইল প্রতীক) নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তার ব্যক্তিগত ইমেজ রয়েছে। তার কর্মী-সমর্থকরা সেই ইমেজ কাজে লাগিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।

প্রফেসর আব্দুল মান্নান মনে করেন চাটমোহর পৌরসভার অতীত ইতিহাস ঐতিহ্য বজায় থাকলে এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে তিনি মেয়র হিসেবে জয়যুক্ত হবেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে মেয়র পদে ত্রিমুখি লড়াই হবে। যদিও প্রতিদিনই পাল্টে যাচ্ছে ভোটের মাঠ।

শেষ পর্যন্ত কার ভোটের পাল্লা ভারি হবে তা জানা যাবে ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়। সে পর্যন্ত পৌরবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে।

কেএস/ ওয়াই এ/এডিবি