ন্যাভিগেশন মেনু

চালের আমদানি শুল্ক ৩৭.৫ শতাংশ কমানো হয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী


সরকার বেসরকারিভাবে চাল আমদানি শুল্ক ৩৭.৫ শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে বলে জানিয়েছে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সরকারি পদক্ষেপগুলো নিয়ে অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'বৈধ আমদানিকারকরা নতুন শুল্ক হারে চাল আমদানি করতে চাইলে আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। পরবর্তীতে একটা নীতিমালার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে খাদ্য মন্ত্রণালয় চাল আমদানির অনুমতি দেবে। নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'গত ২৪ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চালের আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিয়েছেন। পূর্বে বেসরকারিভাবে চালের আমদানি শুল্ক ছিল ৬২.৫০ শতাংশ।’

তিনি আরও বলেন, 'ইতোমধ্যে সরকারিভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি ও জিটুজি পদ্ধতিতে চার লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি করা হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, 'সরকার কারও হুমকিতে মাথানত করে না। আমরা মিলারদের চুক্তির জন্য পীড়াপীড়ি করিনি। তারা তাদের হুমকি নিয়ে থাকুক। প্রয়োজনে আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান বেশি করে কিনবো। যাতে করে তারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। দরকার হলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টন চাল কিনবো।'

তিনি বলেন, 'আমরা কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছি। সরকার নির্ধারিত মূল্য মণপ্রতি ১ হাজার ৪০ টাকা।’

খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আজিজ মোল্লাসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

ওয়াই এ/এডিবি