ন্যাভিগেশন মেনু

চিন থেকে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে শেখ হাসিনার নির্দেশ


চিনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাদ নেই বাংলাদেশও।

চিনে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্তী আছেন। বাংলাদেশে তাদের পরিবারবর্গ উদ্বেগে-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। এ বিষয়টি অনুধাবন করে যারা চীন থেকে দেশে ফেরে আসতে চাইবেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম একথা জানিয়েছেন।চিনে নতুন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে।আর এতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৮০ জনেরও বেশি।

চিনে রবিবার থেকে শুরু হওয়া নববর্ষের ছুটি তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার বাড়ছে বলেও মন্তব্য করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সময় চিন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে বলেও হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চিনের মধ্যাঞ্চলীয় শহর উহানের একটি সিফুড মার্কেট থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হয়। যেখানে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী বিক্রি হতে দেখা গেছে।উহান থেকে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব চিনের রাজধানী বেইজিং, বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ের পাশাপাশি থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও কানাডা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রাণঘাতী ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবকে বিশ্ব স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা আখ্যা দেয়ার কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মহামারী নিয়ন্ত্রণে চিন কতটা সক্ষম হবে তা নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দ্বিধায় রয়েছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী   জানান, আমাদের দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এই বিষয়ে আজকের দিনের শেষে একটি প্রাথমিক নির্দেশনা জারি করা হবে, যার মূল উদ্দেশ্য থাকবে আগ্রহীদের তালিকা প্রণয়ন।

চিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি ও সন্দেহভাজনদের চিকিৎসায় উহানে ছয়দিনের মধ্যে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল বানানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ।নতুন নিউমোনিয়া সদৃশ ভাইরাসটিতে দেশটিতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক হাজার ৯৭৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে, মারা গেছে ৮০ জন।

এক কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার শহর উহান থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শহরটির হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে উৎকণ্ঠিত বাসিন্দাদের অস্বাভাবিক ভিড়।

এস এস