ন্যাভিগেশন মেনু

জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে: আইনমন্ত্রী


জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার চলে গিয়েছিল, সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানার নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।

'আইন করে কি করবো? নির্বাচনের নামে দেশে ভোটারদের সাথে তামাশা হচ্ছে, বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, 'নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু করতে হয় সেটা কারো কাছ থেকে শেখার প্রয়োজন নাই। ওনাদের (বিএনপি নেতাদের) ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ছিল যে আমরা নির্বাচন করছি, জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার চলে গিয়েছিল, সেই অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওনারা (বিএনপি) নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। আমরা সকলেই একেবারে কালকে জন্ম নিয়েছি তা তো না। আমরা জিয়াউর রহমানের হ্যাঁ, না ভোট সেটাও দেখেছি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনও দেখেছি। সব দেখেই এখানে এসেছি। ব্যালট বাক্স পাওয়াই যেতো না। এই যাদের ইতিহাস তাদের কাছ থেকে অন্তত আমাদের নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু করতে হয়, সেটা শেখার প্রয়োজন নাই।’

দেওয়ানি মামলা বিচারের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বিচারকদের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বাড়িয়ে আইন সংশোধন করতে সংসদে বিল পাস করা হয়েছে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ‘দ্য সিভিল কোর্টস (সংশোধন) - ২০২১’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। গত ১৯ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী।

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ২০১৬ সালে হাইকোর্ট এটি স্থগিত করেছে। প্রায় ৫ বছর পর নতুন আইন আনলেন কেন?

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, এই আইনটি হাইকোর্ট স্থগিত করেছে। বাতিল করেনি। বাতিল না হলে নতুন বিল আনলেন কেন?

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা একটা আইন করি। তারপর রিট হয়। পছন্দ না হলে সংসদে পাস হওয়া বিল বাতিল করে দেয়। এর একটা সুরাহা হওয়া দরকার।

এসব প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রিট করার অধিকার সংবিধান দিয়েছে। রিটে কোনো সমস্যা নেই।

মন্ত্রী বলেন ২০২৬ সালের বিলটি নিয়ে উচ্চ আদালতের সঙ্গে সরকারের ‘আউট অব কোর্ট’ সেটেলমেন্ট হয়েছে। সরকার জানিয়েছে তারা নতুন করে আইন প্রণয়ন করবে, তখন হাইকোর্ট জানিয়েছে, তারা নতুন আইন দেখে আগের বিষয়টির বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। আদালত রায় দেবে, সেটা তাদের কাজ। আমি সেটা বলতে চাই না। তাই বললাম, তারা ব্যবস্থা নেবে।

এ সময় ৩ বছর বিচার কাজ থেকে হাইকোর্টের তিনজন বিচারপতি বিরত থেকেও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হকের এমন প্রশ্নের জবাবে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘তিনজন জজকে তাদের ইয়ে দেওয়া হয় না। যদিও সংবিধানে বলা হয় এটা সম্পূর্ণ প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার, আমিও মনে করি তাই। তবুও এই বিষয়টা আমার মনে হয়, আমি তার সাথে একমত আমার মনে হয় এই বিষয়টার সুরাহা হওয়া উচিত। এবং আমি আপনার মাধ্যমে সংসদ সদস্যকে বলতে চাই যে এই বিষয়টা সুরাহা হওয়ার পথে। এইটুক আমি বলতে পারি।

এসময় সংসদে দেওয়ানি মামলা বিচারের ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের বিচারকদের আর্থিক বিচারিক এখতিয়ার বাড়িয়ে আইন সংশোধন করতে সংসদে বিল পাস করার প্রস্তাব রাখেন আইন মন্ত্রী আনিসুল হক।

এস এ /এডিবি