ন্যাভিগেশন মেনু

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অধিক ঝুঁকির মুখে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী


জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২শ’ কোটি মানুষের জীবন ধ্বংসের মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ কক্ষে জলবায়ু পদক্ষেপ শীর্ষ সম্মেলনে ভাষনে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অধিক ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী চরম জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন ঘটনা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বাংলাদেশে কার্যকর আগাম সতর্কবার্তা প্রক্রিয়ার কারণে হতাহতের সংখ্যা হাজার হাজার থেকে হ্রাস পেয়ে প্রায় শূন্যতে নেমে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পানি ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মোকাবেলা করতে ৮২ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ সহ অভিযোজন ও সহনশীলতা তৈরির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দুর্যোগ চলাকালে লোকজনকে আশ্রয় দিতে উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় ৪ হাজার ২৯১ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৫২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। প্রায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক বিপদে সতর্কবার্তা জানাতে এবং প্রস্তুতি সহজতর করতে দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রিস্ক ইনফর্মড আরলি অ্যাকশন পার্টনারশিপ (আরইএপি) আজ চালু করতে পেরে তিনি খুশি। যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড এবং ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ উদ্ভাবিত এটি একটি উচ্চাকাক্সক্ষী নতুন পদক্ষেপ।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি আনন্দের সাথে ঘোষণা করেছেন যে ৫০টির বেশি দেশ ও ২০টির বেশি সংস্থা এটি চালু করতে আজ এই অংশীদারিত্বে যোগ দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘মানবিক, উন্নয়ন ও জলবায়ু বিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনকে একত্রিত করার মাধ্যমে ২০২৫ সাল নাগাদ দুর্যোগের কবল থেকে সারাবিশ্বের একশ’ কোটি মানুষকে রক্ষা করাই হচ্ছে আরইএপি’র লক্ষ্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগাম জোরালো সতর্কবার্তা প্রক্রিয়া এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমন্বিত পদক্ষেপ কিভাবে বড় পরিবর্তন ঘটাতে পারে তা বাংলাদেশ করে দেখিয়েছে। আমরা অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে এবং ভবিষ্যত বিপদের ঝুঁকি মোকাবেলায় অন্যদের নিকট থেকে শিক্ষা নিতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৪তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আট দিনের এক সরকারি সফরে রোববার বিকেলে এখানে পৌঁছান।

একই ধরণের সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন

এমআইআর  / এসএস