ন্যাভিগেশন মেনু

জীবননগরে আবাদি জমিতে পুকুর খননের নামে ইটভাটায় মাটি বিক্রি


চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করার নামে ইটভাটায় মাটি বিক্রির অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে একটি মাটি খনন করার যন্ত্র এক্সেভেটর জব্দ করেছে।

রবিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৪টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করার মুল হোতা সেনেরহুদা গ্রামের বসতিপাড়ার মৃত শওকত আলীর ছেলে আলী আকুব্বর ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

জব্দকৃত এক্সেভেটর উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের জিম্মায় রেখে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাছাড়া অভিযুক্ত আলী আকুব্বরকে আগামীকাল (২৬ এপ্রিল) জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তলব করা হয়েছে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেন। এর আগেও আলী আকুব্বর ইটভাটায় মাটি বিক্রির অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের মৃত শওকত আলীর ছেলে আলী আকুব্বর বেশ কিছুদিন ধরে ওই গ্রামের দিঘড়ির মাঠে কৃষি জমি থেকে এক্সেভেটর দিয়ে মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন ইটের ভাটায় বিক্রি করে আসছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ৫০-৬০টি মাটিবাহী ট্রাক বেপরোয়া গতিতে গ্রামের ভেতর দিয়ে চলাচল করতো। এতে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ হয়ে বিষয়টি জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিনের কাছে অভিযোগ করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারিক হাকিম মো. মহিউদ্দিন জানান, অবৈধভাবে কেউ কৃষি জমির মাটি কেটে এবং পুকুর খননের নামে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

এসকে/সিবি/এডিবি/