চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন ময়েনকে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাতের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান আইনে সাজাপ্রাপ্ত ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগে ২৪ জানুয়ারি বিদেশে লোক পাঠানোর নামে টাকা আত্মসাৎ মামলায় আদালত মঈন উদ্দীনের অনুপস্থিতিতে তাকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দেন।
মঈন উদ্দীন ময়েন জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে এবং জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জীবননগর উপজেলা যুবদলের সভাপতি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের সালাউদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে ভালো বেতনের লোভ দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেয় ময়েন। বিদেশে পাঠানোর নাম করে দু’দফায় তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই চেয়ারম্যান। কিন্তু আলমগীরকে বিদেশে না পাঠিয়ে বিভিন্নভাবে টালবাহানা শুরু করেন ময়েন।
এক পর্যায়ে আলমগীরের ভাই মিজানুর রহমান ইউপি চেয়ারম্যান ময়েনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ৩০ মে দাখিলকৃত ওই মামলায় ময়েনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। এরপর আদালত ৩ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে চলতি মাসের ২৪ তারিখে মঈন উদ্দীনের অনুপস্থিতিতে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন।
রায় ঘোষণার দু'দিন পর মঙ্গলবার বিকেলে সাজাপ্রাপ্ত মঈন উদ্দীন ময়েন চুয়াডাঙ্গা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারিক হাকিম মিজানুর রহমান।
পরে সন্ধ্যায় ময়েনকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসকে/এডিবি/
