ন্যাভিগেশন মেনু

তিনদিনে লাউয়াছড়ায় সাড়ে ৬ হাজার পর্যটক


টানা তিনদিনের ছুটি পেয়ে দূর-দূরান্তের পর্যটকদের পদভারে মুখর ছিলো মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অবস্থিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। ছুটির সময়টা আনন্দে কাটাতে তিনদিনে ৬ হাজার ২০৯ জন পর্যটক আসে লাউয়াছড়ায়।

রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ছুটির সাথে আগের শুক্র ও শনিবারের ছুটি মিলিয়ে তিনদিনে সরকারি ছুটি ছিলো।

এদিকে টানা তিনদিন এই ছুটির প্রভাব পড়েছিল ট্রেন ও বাসের টিকেট ও হোটেল রিসোর্টে।

এ ছুটি কাটাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন সপরিবারে ও বন্ধু-বান্ধব মিলে বেড়াতে আসেন কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক ও চায়ের রাজধানীখ্যাত শ্রীমঙ্গলের কয়েকটি পর্যটন এলাকায়। এর মাঝে বড় একটি অংশ আসে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ও মাধবপুর লেকে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ব্যবস্থাপনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবারে এ উদ্যানে আসেন ১ হাজার ৭০০ পর্যটক। তাদের প্রবেশ ফি ও গাড়ি পার্কিং থেকে রাজস্ব আয় হয় ৭৮ হাজার ৮০০ টাকা। শনিবার পর্যটক আসেন ২ হাজার ৬ জন। তাদের প্রবেশ ফি ও গাড়ি পার্কিং থেকে রাজস্ব আয় আসে ৯৪ হাজার ৬০০ টাকা। আর রবিবার পর্যটক আসে ২ হাজার ৫০৩ জন। তাদের প্রবেশ ফি ও গাড়ি পার্কিং থেকে রাজস্ব আয় আসে ১ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ টাকা। সব মিলিয়ে তিনদিনে রাজস্ব আয় আসে ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

শ্রীমঙ্গল সদরের গ্রিনভিউ গেস্ট হাউজের মালিক এস কে সুমন জানান, তিনদিনে তাদের কোন রুম খালি ছিলো না। পর্যটকদের চাহিদা থাকলেও তারা চাহিদা পূরণ করতে পারেননি।

কমলগঞ্জের শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সেলিম হোসেন আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, টানা ছুটি পেয়ে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় ছিলো। পর্যটকদের ট্রেনের টিকেটের চাহিদা থাকলেও কোন আন্তঃনগর ট্রেনে আসন খালি না থাকায় পর্যটকদের টিকেট দিতে পারেননি। ফলে এ চাপটি গিয়ে পড়ে আন্তঃজেলা বাসের ওপর।

এস এইচ/ এস এ/এডিবি