ন্যাভিগেশন মেনু

দাঁতের সুস্থতায় নিয়মিত স্কেলিং


নিয়মিত স্কেলিংয়ের মাধ্যমে বজায় রাখুন দাঁতের সুস্থতা। অজস্র মানুষ দাঁতের কালো দাগ, ছোপ আর নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ নিয়ে বিব্রত। বিশ্বের প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জন মানুষ মুখ আর দাঁতের সমস্যা নিয়ে কখনও না কখনও কষ্ট পান। নিয়মিত স্কেলিং করে এই সমস্যা থেকে বের হতে পারেন।

এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ২৫–৩০ বছর বয়সের পর থেকে বছরে অন্তত একবার স্কেলিং করিয়ে নেওয়া দরকার।

স্কেলিং নিয়ে অনেকের মনে নানান ভুল ধারণা আছে। কেউ কেউ মনে করেন, স্কেলিং করালে দাঁতের এনামেলের সমস্যা হয়, দাঁত ও মাড়ির সংবেদনশীলতা বেড়ে গিয়ে পানি বা খাবার লাগলে দাঁত শিরশির করে। বরং দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ক্যালকুলাস (ময়লা জমে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়) বের করে দেওয়া হয়। ফলে দাঁত ও মাড়ি প্রাথমিকভাবে আলগা মনে হতে পারে। আসলে স্কেলিং এর ফলে দাঁত ও মাড়ির জমে থাকা ময়লা বেরিয়ে গিয়ে এ রকম অনুভূতি হয়। কয়েকদিনের মধ্যেই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়।

আল্ট্রাসনিক বা লেসারের সাহায্যে স্কেলিং করা হয়-

মাড়ির নানা অসুখের মুলে আছে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা পাথরের মতো প্লেক। নিয়মিত ব্রাশ ও ফ্লস করলেও প্লেক জমে যায়। এবড়োথেবড়ো ও ফাঁকা দাঁতে বেশি প্লেক জমে যায়। আল্ট্রাসনিক বা লেসারের সাহায্যে স্কেলিং করা হয়। পদ্ধতিটি মোটেও বেদনাদায়ক নয়। যদি খুব বেশি দাঁত শিরশির করে সেক্ষেত্রে বিশেষ টুথপেস্ট ও মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে কয়েক দিনের মধ্যেই আবার অনুভূতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। তাই দাঁত ও মাড়ির সুস্থতা বজায় রাখতে বছরে অন্তত একবার স্কেলিং করানো উচিত।

সিবি/এডিবি