ন্যাভিগেশন মেনু

দিনাজপুরে লকডাউনে রাস্তায় যানজট, বেড়েছে জনসমাগম


দিনাজপুরে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন যেনো শিথিল হয়ে আসছে। দিন যতো গড়াচ্ছে মানুষ জীবিকার তাড়নায় ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। রাস্তায় বেড়েছে জনসমাগম, ফলে যানজটও বেড়েছে। যার কারণে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টে ধরাও পড়তে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সরেজমিনে জেলা শহর ও কয়েকটি উপজেলা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের প্রথম দিনে দিনাজপুরের প্রধান সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। অতি প্রয়োজনীয় গাড়ি ছাড়া তেমন কোনো যানবাহনই চোখে পড়েনি। পাড়া-মহল্লায় খুব একটা জন চলাচল দেখা যায়নি। কিন্তু দু'একদিন পর থেকেই পাল্টাতে থাকে দৃশ্য। রাস্তায় বাড়তে শুরু করেছে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতি। অলিগলিতেও জমতে শুরু করে আড্ডা।

আর এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রথম দফা লকডাউনের শেষদিনে অর্থাৎ বুধবার দিনাজপুরের বিভিন্ন সড়কে শুধু যানবাহনের চাপই নয়, বরং যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। খুলেছে দোকানপাট, রাস্তায় দোকানের পসরা বসিয়েছে দোকানিরা।

শহরের ব্যস্ততম এলাকা ষষ্টিতলা, স্টেশন রোড, বাহাদুর বাজার, লিলিমোড়, পাহাড়পুর, মর্ডাণমোড়, মালদহপট্টি, কালিতলা, সুইহারী, ৬ রাস্তার মোড়, মহারাজা মোড়, ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ড, মেডিকেল মোড়, পুলহাট, শিকাদারহাটসহ বিভিন্ন জায়গায় বেড়েছে মানুষের ভিড়।

বৃহস্পতিবার দেখা গেছে, পুরো শহর যেন অটো ইজিবাইক এবং মোটরসাইকেলের দখলে। প্রশাসনের সে রকম টহল লক্ষ্য করা যায়নি। জীবনযাত্রা যেন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিরল, কাহারোলে জনসাধারণের মুখে মাস্ক নেই। কাহারোলের ঢিপিকুড়া যেতে আধাকিলোমিটার আগে খোলা আকাশের নিচে একটি মন্দিরে পুজাঅর্চনার সময় কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।

আপনারা কেন মুখে মাক্স পড়েননি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, ‘বাড়িত থুই আইছু বা’। বিশেষ করে বিরল উপজেলার রিসোর্ট থেকে শুরু করে কাহারোল পর্যন্ত বেশির ভাগই মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বা মুখে মাস্ক পরছেন না। 

এদিকে বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন স্থানে কাপড়ের দোকানসহ বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। শপিংমলগুলো অল্প একটু সাটার খুলে রাখছে এরপর প্রশাসনের লোক আসলেই দোকানিরা দোকানের সাটার বন্ধ করে দিচ্ছে। চলছে লুকোচুরি খেলা।

অথচ গতকালও দেশে ২০০ এর বেশি মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

এএস/সিবি/এডিবি/