ন্যাভিগেশন মেনু

দিলীপ কুমারের অটোগ্রাফ পেতে ৪৬ বছর লেগেছিল অমিতাভের


প্রয়াত বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার। বুধবার (৭ জুলাই) ভোরে মুম্বইয়ের পিডি হিন্দুজা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।

কিংবদন্তি এই অভিনেতার মৃত্যুতে বলিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তার জন্য শোক প্রকাশ করছেন ভক্ত ও সহকর্মীরা।

বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন টুইটারে লিখেছেন, ‘একটি ইনস্টিটিউশন চলে গেলো। যখনই ভারতীয় সিনেমার বিষয়ে লেখা হবে, এটি দিলীপ কুমারের আগে ও দিলীপ কুমারের পরে। তার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া এবং এই ক্ষতি সহ্য করার জন্য পরিবারের শক্তি কামনা করছি। খুবই কষ্ট পেলাম।’

দিলীপ কুমারের মৃত্যুর আগে তাকে নিয়ে একবার স্মৃতিচারণ করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি জানান, দিলীপ কুমারের অটোগ্রাফ পেতে তার ৪৬ বছর লেগেছে। প্রথম বার মা-বাবার সঙ্গে গিয়েছিলেন দক্ষিণ মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে, যেখানে দিলীপ কুমার সবান্ধবে উপস্থিত। নায়ককে ঘিরে ভিড়ের কারণে তিনি সফল হননি সে দিন। কিছুকাল পরে আরেকটি সুযোগ আসে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু একটা পার্টি দিয়েছিলেন। দিলীপ কুমার, দেব আনন্দ, রাজ কাপুর হাজির। কিন্তু সেই পার্টিতেও অমিতাভ প্রিয় তারকার অটোগ্রাফ নিতে পারেননি। এমনকী ১৯৮২ সালে ‘শক্তি’ ছবিতে দিলীপ কুমারের সঙ্গে কাজ করলেও অমিতাভ তার অটোগ্রাফ সংগ্রহে ব্যর্থ হন। অবশেষে তার স্বপ্ন সত্যি হয় ২০০৫ সালে। রানি মুখার্জির সঙ্গে ‘ব্ল্যাক’ সিনেমায় ছিলেন অমিতাভ। রানির আমন্ত্রণে স্ত্রী সায়রা বানুকে নিয়ে ছবি দেখতে এসেছিলেন দিলীপ কুমার। ছবি দেখে আপ্লুত দিলীপ কুমার অমিতাভকে একটা দীর্ঘ চিঠি লেখেন। তাতে অনেক প্রশংসাবাক্য থাকলেও চিঠির শেষে দিলীপ কুমারের সই দেখেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান অমিতাভ বচ্চন।

দিলীপ কুমারের অসংখ্য গুণগ্রাহীদের মধ্যে বিশেষ একজন হলেন বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান। শাহরুখের সঙ্গে দিলীপ কুমার এবং সায়রা বানুর সুন্দর সম্পর্কের কথা সকলেই জানেন। শাহরুখ তার স্মৃতিচারণায় জানিয়েছেন, “ছোটবেলা থেকেই আমি দিলীপ সাহেবকে জানতাম। কারণ, বাবা তাকে চিনতেন। পরে কেতন মেহতার সঙ্গে কাজের সময় তার অফিসে আমি দিলীপ কুমারের ছবি দেখে অবাক হয়ে যাই। আরে! এ তো আমি! আমার মতনই লাগছে। সত্যিই দিলীপ সাহেব আর সায়রাজি আমাকে তাদের ছেলের মতন ভালবেসেছেন।'

অভিনেতা দিলীপ কুমার সম্পর্কে শাহরুখ বলেন, "দিলীপ সাহেবের নিজের আলো আছে… সেই আলোতেই আমরা মজে আছি এত কাল… পথও চলছি।

ওআ/