ন্যাভিগেশন মেনু

দেশকে অস্থির করার জন্য বিএনপি অটল: কৃষিমন্ত্রী


আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশকে অস্থির করার জন্য তারা (বিএনপি)অটল। দীর্ঘদিন যাবত তারা পদযাত্রা, বিক্ষোভ সমাবেশ একটার পর একটা করেই যাচ্ছে। কিন্তু কোনোটাতেই তারা সফল হয়নি। সরকারের পতন হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালাতে হয়নি বরং তারেক জিয়াই পালিয়ে বছরের পর বছর নির্লজ্জভাবে বিদেশে রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের কেন্দ্রীয় গবেষণা কমপ্লেক্সের উদ্বোধন শেষে গ্রিন হাউসে গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধ ও জাত উদ্ভাবনসহ চলমান গবেষণা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সাল থেকেই বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তখন অগ্নি-সন্ত্রাস, গাড়িতে আগুন, বিদ্যুতের লাইন কাটা, রেললাইন উপড়ে ফেলাসহ পুলিশকে থেঁতলে হত্যা করেছে বিএনপি-জামায়াত। ২০১৪ সালে নির্বাচনে না এসে একটানা ৯০ দিন হরতাল-অবরোধের নামে বাংলাদেশকে অচল করার চেষ্টা করেছিল। সর্বশেষ তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের অফিসে বলেছিল, শেখ হাসিনার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ও শেখ হাসিনা দেশ থেকে না পালানো পর্যন্ত তারা বিএনপির অফিস ছাড়বে না। ৯০ দিন শেষে ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে মুখে কালিমা মেখে খালেদা জিয়া ফিরে যায়।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ঐতিহ্যবাহী দল। তারা (বিএনপি) আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না, কোনদিনই না। ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে, জনগণের রায় মানতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশকে অচল করার জন্য এখন তারা যে পথে যাচ্ছে তাতে তারা সফল হবে না। এভাবে চললে বিএনপির অস্তিত্বই থাকবে না বলে আমার মনে হয়। এছাড়া তারা যদি আগুন-সন্ত্রাস করতে চায় তাহলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় অবশ্যই মোকাবিলা করবে।

পরে এক সেমিনারে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া প্রমুখ।