ন্যাভিগেশন মেনু

দেশের চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করে গেছেন কবরী: হাছান মাহমুদ


বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের চলচ্চিত্রকে তিনি সমৃদ্ধ করে গেছেন।

কবরী স্মরণে আজ মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের রাউন্ড টেবিল মিলনায়তনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি এ স্মরণসভার আয়োজন করে। প্রয়াত কবরী এই জোটের সভাপতি ও  অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।

স্মরণসভার প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন দীর্ঘ সময় চলচ্চিত্র ছেড়ে অন্তরালে থাকলেও যেমন আরেকজন সুচিত্রাকে আমরা পাইনি, তেমনি আরেকজন কবরীকে আমরা পাব কি-না সন্দেহ।

মন্ত্রী বলেন, পাঁচ দশক ধরে দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনকে শুধু সমৃদ্ধ করে যাননি রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও দক্ষতা দেখিয়ে গিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কবরী। আমরা তার অভিনয় দেখে আলোড়িত হয়েছি বলেন, হাছান মাহমুদ।

করোনা আমাদের মাঝ থেকে অনেককে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে, কবেরীকেও আমাদের হারাতে হয়েছে। এই করোনাকে আমাদের সবর্শক্তি দিয়ে মোকোবেলা করতে হবে।

১৯৭১ সালে বর্বর নিরযার্তনের জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দিতে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, এটা শুধু জাফরুল্লাহর বক্তব্য নয়, তা বিএনপির কথা।

পাকিস্তানকে তার কমর্কাণ্ডের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। আমি জাফরুল্লাহর বক্তব্যের নিন্দা জানাই।

এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম। 

চলচ্চিত্রে কবরীর অনন্য অবদানের কথা তুলে ধরে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দারসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও সাংষ্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের মুখপাত্র ও সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান।

এস এস