ন্যাভিগেশন মেনু

দর্শনা দিয়ে আজও দেশে ফেরেনি ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা


চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে আজকেও দেশে ফেরেনি ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা। দূতাবাসের ছাড়পত্র (এনওসি) না পাওয়ায় দেশে ফেরার অনুমতি পাননি তারা।

সোমবার (১৭ মে) বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ চেকপোস্ট দিয়ে কোনও বাংলাদেশি নাগরিক দেশে আসেননি। গত রবিবার থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীদের এ চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরার কথা ছিল। এ উপলক্ষে সব ধরণের প্রস্তুতিও নিয়েছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।

সোমবার দুপুরে দর্শনা চেকপোস্ট পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। 

দর্শনা ইমিগ্রেশন সূত্র জানিয়েছে, ভারতের দূতাবাস থেকে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) না পাওয়ায় দেশে আসতে পারেনি সেখানে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা।

দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলিম জানান, ভারতের গেদে আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইনচার্জ সনজিদ কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বিকেল পর্যন্ত বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী কোনও যাত্রী গেদে চেকপোস্টে আসেনি। দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে আসলে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

করোনা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, ভারতের কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আমাদের ৫১ জনের ছাড়পত্রের নামের তালিকা পাঠিয়েছেন। তবে, আটকেপড়া বাংলাদেশিরা কবে দেশে ফিরতে পারবেন তা জানানো হয়নি।

এর আগে শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কিত চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, দর্শনা চেকপোস্টে প্রবেশের পর প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদেরকে সেখানেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত রোগীদেরকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া এবং অন্যদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে প্রাথমিকভাবে নার্সিং ইনস্টিটিউট ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে নির্বাচন করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নির্ধারিত পরিবহনে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যাত্রীদেরকে পৌঁছানো হবে। কোয়ারেন্টিনে অবস্থানকালীন সকলকেই থাকা ও খাওয়ার খরচ বহন করতে হবে। দেশে প্রবেশকারীদের পাসপোর্ট পুলিশ হেফাজতে থাকবে। কোয়ারেন্টিন শেষে সিভিল সার্জনের ছাড়পত্রের পর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হবে।

পুরো প্রক্রিয়া তদারকির জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীনকে প্রধান করে সাত সদস্যের মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, ভারতের কলকাতা থেকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী বাজারের বাসিন্দা মোবাশ্বের রহমান জানান, কোলকাতায় মাকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি।

তিনি জানান, আমার মা ক্যান্সারে আক্রান্ত। তার চিকিৎসার জন্য দেড় মাস আগে ভারতের কলকাতায় এসে আটকে পড়েছি। আজ ভোর থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার জন্য কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে আবেদন করতে এসেছিলাম। এখানে ৪ শতাধিক বাংলাদেশি লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। দুপুর ১টার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে পেরেছি।

তিনি আরও জানান, কলকাতায় কঠোর লকডাউনের কারণে দূতাবাসে যাওয়ার জন্য কোনো যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না। লকডাউনের ভেতর এনওসি নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

এসকে/এসএ/এডিবি/