ন্যাভিগেশন মেনু

দ্বিতীয় ডোজ ১৬ সপ্তাহ পর দেওয়ার চিন্তা


ভারতে প্রথম ডোজের টিকা একটা বড় বিরতি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। ভারতের পথ অনুসরণ করে এবার বাংলাদেশেও ১৬ সপ্তাহ পর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ভাবছে সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, টিকা প্রয়োগ ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে দুই ডোজের মধ্যকার সময় বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।তবে অনেকে মনে করছেন, টিকার স্বল্পতার কারণে এমনটি ভাবা হচ্ছে। এটা করা গেলে বড় সময় ধরে বিরতির ফলে টিকা সংগ্রহ করা যাবে।

এবং টিকাদান স্বাভাবিকভাবে চলবে। একই কথা উঠে এলো সরকারি বয়ানেও। সরকারে আধিকারিকরা মনে করছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যকার সময় যদি ১৬ সপ্তাহ করা সম্ভব হয়, তাহলে বাড়তি সময় পাওয়া যাবে। এই সময়ের মধ্যে টিকার জোগাড়ও হয়ে যেতে পারে।  

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সর্বশেষ সভাতেও এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।কমিটির সদস্যরা বলছেন, প্রথম ডোজের ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ভেতরে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া যায়। কোনো কোনো দেশ প্রথম ডোজের ১৬ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করছে।

তবে টিকা পরিস্থিতি ও বিকল্প পরিকল্পনা কী নেওয়া হয়েছে, তা দেশের মানুষকে অবহিত করার পরামর্শও দিয়েছে কমিটি।  

এদিকে ভারতের সেরাম থেকে বরাত মতো টিকা সরবরাহ করা হয়নি বলে বাংলাদেশে টিকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে ঢাকার মন জোগাতে ছুটে এসেছে চিন। তারা ইতিমধ্যে পাঁচ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে। আরও ৬ লাখ টিকা উপহার দেওয়ার কথা জানিয়েছে চিন।

সরকার টিকা নিয়ে বিকল্প পরিকল্পনা কী করছে, তা মানুষকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছে, জাতীয় কমিটির।বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা দেওয়া হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, প্রথম ডোজ দেওয়ার ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দিলে এই টিকা বেশি কার্যকর হবে।

দেশে গণটিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। এর আগের দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, দুই ডোজের মধ্যকার সময়ের ব্যবধান হবে চার সপ্তাহ। সেদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র এবং অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, চার সপ্তাহের ব্যবধান বৈজ্ঞানিকভাবে যুক্তিযুক্ত।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি টিকা গ্রহণকারীদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য ৮ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক দিন পরই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তর বলে, দ্বিতীয় ডোজ আট সপ্তাহ পরে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮ এপ্রিল থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়।দেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত টিকা ‘কোভিশিল্ড’ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

এ পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৭৫১ জনকে। ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৬১ জন দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার মতো টিকা নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে।ইতিমধ্যে বেশ কিছু কেন্দ্রে টিকা ফুরিয়ে গেছে। ওই সব কেন্দ্র থেকে যাঁরা প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাঁরা কবে দ্বিতীয় ডোজ পাবেন, তা স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে না।

এ নিয়ে কোথাও কোথাও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

এস এস