ন্যাভিগেশন মেনু

পদ্মাসেতুতে আঘাত আসলে দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত লাগে: নৌ প্রতিমন্ত্রী


পদ্মাসেতুর কোনও জায়গায় আঘাত আসলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত লাগে। যদিও এই ধরণের আঘাতে পদ্মাসেতুর নূন্যতম কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই তারপরও এটা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করে। এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘পদ্মাসেতুতে ফেরি বার বার ধাক্কা দিচ্ছে। এই জায়গাটিতে আমরা বিব্রত বোধ করছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের কিছু নির্দেশনা ছিল। এই নির্দেশনা পালনের ক্ষেত্রে আমরা কিছু উদাসীনতা লক্ষ্য করেছি। এগুলো কেন হচ্ছে, এ বিষয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা উচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বশীলদের নিয়ে আমরা একটা সভা করবো।’

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট এবং শুক্রবার সকালে পদ্মাসেতুর ১০ নম্বর যে খুঁটিতে ফেরি কাকলীর ধাক্কা দেওয়া পদ্মাসেতুর ১০ নম্বর খুঁটি ও পদ্মাসেতু পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পরে মন্ত্রী মাঝিকান্দিতে ঘাট সরিয়ে নেওয়ার জায়গাটিও পরিদর্শন করেন।

নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাঝিকান্দি আমরা পরিদর্শন করেছি। কারণ পদ্মাসেতু পুরোপুরি চালু হওয়ার পর বাংলাবাজার ঘাটটি আর ব্যবহার করা যাবে না। সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার কারণে। সে ক্ষেত্রে মাঝিকান্দি আমরা ফেরিঘাট হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। আজকে সেটার প্রাথমিক পরিদর্শন করেছি। এই বিষয়ে আজকের সন্ধ্যার সভায় বিস্তারিত আলোচনা হবে। সেখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, 'এই রুটটিতে এখন যে গতিশীলতা এসেছে তা বর্তমান সরকারের ১২ বছরের কার্যক্রমের ফলাফল। এখন এই রুটটি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই নৌরুটটি একসময় গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কারণ আড়াই থেকে ৩ ঘন্টা যাতায়াত লাগতো। বিঅইডবি্লউটিএ এবং বিঅইডবি্লউটিসির সক্ষমতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৃদ্ধি হওয়ার কারণেই এই নৌরুটটি এখন অনেক জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এক্সপ্রেসওয়ে রোডগুলো আমরা বিশ্বমানের করে ফেলেছি ইতোমধ্যে। আগে যে এ রুটটি চলাচলের জন্য খুব বেশি যে ব্যবহার হতো তা না।'

এখন যেহেতু এই রুটটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তার চেয়েও বড় কথা আমাদের পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা। আমরা বাংলাদেশের মানুষ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশরত্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু আজকে বাস্তবতার রুপ নিয়েছে এবং উদ্বেধনের অপেক্ষায় আছে। আমরা আশা করছি আগামী বছর পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে, বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ফেরিগুলোর গায়ে রাবার বসানোর অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা যেনো আর না ঘটে সে ব্যাপারে আজকে সন্ধ্যায় একটি সভা আছে। সেখান থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

এসইউ/এমআইআর/এডিবি/