ন্যাভিগেশন মেনু

পাবনায় আওয়ামী লীগ কর্মী খুন, মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ


পাবনায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ কর্মী আমিরুল ইসলাম প্রামাণিক। পরে মরদেহ নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে দলীয় নেতাকর্মীরা।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় পাবনা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

এর আগে রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার আতাইকান্দা বাজারে একটি চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগ কর্মী আমিরুল ইসলামকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে পেশায় রাজমিস্ত্রী। তাকে গুলি করে হত্যার পর হত্যাকারীরা সর্বহারার দলের স্লোগান দিয়ে চলে যায়। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানান, পরপর তিনটি গুলি করে হত্যা নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

তারা আরও জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদের সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মাহমুদের বিরোধ রয়েছে। নিহত আমিরুল ইসলাম সুলতান গ্রুপের লোক।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ বলেন, 'আমিরুল দীর্ঘদিন ধরে আমার সাথে রাজনীতি করে আসছে, সে একজন নিরীহ মানুষ, তার ছেলে এখন এতিম হয়ে গেলো।'

তিনি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ও দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করেন।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নসিম আহমেদ জানান, সোমবার দুপুর ২টায় ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করেছে নেতা-কর্মীরা। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, এলাকাটি দূর্গম ও সন্ত্রাসকবলিত। কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে। তবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকায় বিরোধ ছিল।

কে এস/ এস এ /এডিবি