ন্যাভিগেশন মেনু

পুলিশকে কথায় নয় কাজে পটু হতে হবে: হাইকোর্ট


কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাতকে উদ্দেশ্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘পুলিশকে কথায় নয় কাজে পটু হতে হবে। কে কোন মতাদর্শের, কোন দলের সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। সর্বস্তরের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের দায়িত্ব। পুলিশের কর্মকাণ্ডে জনগণের মধ্যে যেন ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়। কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করতে হবে আপনারা জনগণের বন্ধু। পত্র-পত্রিকায় যা দেখলাম, তা যদি কুষ্টিয়ার বাস্তব অবস্থা হয়, তা হবে জাতির জন্য ভয়ংকর। জনগণ যেন মনে না করে দেশ পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। জাতি উৎকণ্ঠিত, এটা নিরসন করার দায়িত্ব পুলিশের।’

এর আগে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এসপি এস এম তানভীর আরাফাত হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হন। সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে আদালতে শুনানি শুরু হয়। এতে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন এসপি তানভীরের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী।

রবিবার (২৪ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবীর মাধ্যমে দুর্ব্যবহারে অভিযোগের বিষয়ে অনুতপ্ত হয়ে আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন কুষ্টিয়ার এসপি এসএম তানভীর আরাফাত।

আবেদনে তিনি বলেছেন, তিনি ম্যাজিস্ট্রেটকে চিনতে পারেননি। তাই এমন অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি দায়িত্ব পালনে আরও সতর্ক হবেন। এ ধরনের ভুল আর কখনো হবে না।

আবেদনে তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের জন্য আমার মনে সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই বিন্দুমাত্র অসম্মান দেখানোর কথা দূরে থাক, বরং বিচার বিভাগের দেয়া কাজে নিয়োজিত হতে পারলে নিজেকে সম্মানিত বোধ করি। এ ঘটনায় আমি মনের গভীর থেকে অনুতপ্ত। এ জন্য আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা নির্বাচনে দায়িত্বরত এক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহারের’ ঘটনায় এসপি তানভীরকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। এছাড়া আদালত অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

গত ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এসপিকে তলব করে আদেশ দেন।

ওআ/