ন্যাভিগেশন মেনু

পেঁয়াজ মে থোড়া দিক্কত হো গিয়া হামারেঃ শেখ হাসিনা


হঠাৎ করেই ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় এখন পেঁয়াজ ছাড়াই রান্না করতে হচ্ছে বলে দিল্লির এক অনুষ্ঠানে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত শুক্রবার নয়াদিল্লির আইটিসি মৌর্য হোটেলে বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশনে তার সংবর্ধনার সময় উপস্থিত ভারতীয় অতিথিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা এক পর্যায়ে  হিন্দি ভাষায় বলতে শুরু করেন, ‘পেঁয়াজ মে থোড়া দিক্কত হো গিয়া হামারে লিয়ে। মুঝে মালুম নেহি, কিউ আপনে পেঁয়াজ বন্ধ কর দিয়া! ম্যায়নে কুক কো বোল দিয়া, আব সে খানা মে পেঁয়াজ বন্ধ কারদো।’

বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়- পেঁয়াজ নিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে গেছি আমরা। আমি জানি না, কেন আপনারা পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলেন। আমি রাঁধুনীকে বলে দিয়েছি, এখন থেকে রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও।

এ সময় হলঘরে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিভাগের প্রধান বিক্রম দোরাইস্বামী এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলি দাস। তিনি শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষে এখন দিল্লিতে।

তাঁরা দুজনেই শেখ হাসিনার এই বক্তব্য প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছে দেন সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে। এরপরই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশের কনসার্ন অ্যাড্রেস করতে ভারতকে জরুরী ভিত্তিতে কিছু একটা করতেই হবে।

এ প্রসঙ্গে গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘পেঁয়াজ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যা বলেছেন, সেটা আমাদের চোখে পড়েছে। তার এই উদ্বেগ কীভাবে প্রশমিত করা যায়, কীভাবে এই কনসার্নটা অ্যাকোমোডেট করা যায়, তা আমরা দেখছি।’

ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জন্য কিছুটা শিথিল করার উদ্দেশ্যে।

তবে সেটা ঠিক কী, তা সম্ভবত জানা যাবে শনিবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পরেই।

 বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ  https://www.ajkerbangladeshpost.com 

ওয়াই এ / এস এস