ন্যাভিগেশন মেনু

প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের আসামী গ্রেফতার


মুঠোফোনের নম্বরের সুত্র ধরেই বগুড়ায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রবিবার (১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে বগুড়া থানা পুলিশ। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

গ্রেফতারকৃত যুবক হলো, বগুড়া সদরের কাহলা গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে আমিনুর (২৭)।

মামলা ও শিক্ষার্থীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবর থেকে অপরিচিত নম্বরে একজনের সাথে কথা বলে অষ্টম শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী। তিনদিনের মাথায় ছেলেটা মেয়েটার সাথে দেখা করতে চায়। ছেলেটা তার নাম বলে সাগর। ২৭ তারিখ সন্ধ্যার পর থেকে কথিত সাগর বারবার ফোন দিতে থাকে মেয়েটিকে। মাদ্রাসা ছাত্রী একপর্যায়ে বাসা থেকে বের হতে রাজি হয়। মেয়েটাকে নানা কৌশলে বাড়ী থেকে বের করে আনে ঐ সাগর।

পরে রাত সাড়ে বারটার দিকে প্রেমিকের সাথে দেখা করার উদ্দেশ্য নিয়ে মেয়েটা বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। কথিত সাগর পেশায় সিএনজি চালক, সে মেয়েটিকে তার নিজের সিএনজিতে উঠিয়ে দাড়িয়াল গ্রাম থেকে পার্শ্ববর্তি একটা জঙ্গলের ভিতরে ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। ধর্ষনের শিকার ছাত্রী বাড়িতে এসে সব কথা মা-বাবাকে জানায়। এঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রবিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে মেয়েটা,তার মা,বাবা এবং মামা সহ তাকে বিষয়টি অবগত করেন। একমাত্র মোবাইল নম্বর ছাড়া তারা কিছুই বলতে পারেনি। সেই নম্বরের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনে বগুড়া শহরের একজন সত্তর বছর বয়সীর নাম। তাকে খুঁজে পাওয়াও সম্ভব না হলেও শুধুমাত্র মোবাইল নম্বরের সুত্র ধরে আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। সদর থানার এসআই রায়হান এবং নুর আমিনকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে রাত ১ টা ৪৯ মিনিটে ধর্ষক আমিনুরকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষক আমিনুরকে সনাক্ত করেছে।

বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, এ ঘটনায় সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

সিবি/ওআ