ন্যাভিগেশন মেনু

প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে করোনাকে তুড়ি মেরে লাঙ্গলবন্ধে অষ্টমীর স্নান


করোনায় কাঁপছে সারা বিশ্ব। বাদ নেই বাংলাদেশও। দেশে ইতিমধ্যে করোনায় ৬ জন মারা গিয়েছেন। আক্রান্ত ৫৪ জন। সরকার লকডাউন জারি করে মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

কিন্তু এরমধ্যেও মানুষ বাইরে বের হয়ে নিজের তো বটেই অন্যেরও সর্বনাশ ডেকে আনছেন। যেমনটা ঘটেছিল দিল্লির নিজামুদ্দিনে জামাতে অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে। দেশ-বিদেশের মানুষ পরষ্পরের সংস্পর্শে  এসে করোনায় আক্রান্ত ৮ জন মারা গিয়েছেন।

তারই ছায়া মিলল এবার ঢাকার অদূরে ঐতিহাসিক লাঙ্গলবন্ধে অষ্টমী স্নান উৎসবে। কেউ জানতেও পারলেন না কতোজন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এ জন্য কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা এখন দেখার অপেক্ষায়। 

কেননা দিল্লির নিজামুদ্দিনের কাণ্ডে কেজরিওয়াল সরকার মামলা দায়ের করেছেন এবং সেখানে অংশ নেওয়া মুসল্লীদের খুঁজে বের করতে দেশব্যাপী তল্লাশী অভিযান শুরু করেছে। 

পাপ মোচনের জন্য প্রতিবছর ব্যাপক আয়োজনে লাঙ্গলবন্দে  ‘অষ্টমীর স্নান’ উৎসব হয়। এ উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকলাখ পূণ্যার্থী অংশ গ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর সতর্কতা হিসেবে জনসমাগম রোধে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন থেকে এই উৎসব স্থগিত করলেও তা মানেননি পূণ্যার্থীরা।

তাঁরা তুড়ি মেরে অষ্টমী স্নানে মেতে ওঠেন। এরআগে  সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন আলোচনা করে যৌথ উদ্যোগে স্নান উৎসব বাতিল করলেও এবার অনেকেই  তা মানেননি।  

বুধবার ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার পূণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে অষ্টমীর পাপমোচন স্নান উৎসবে মেতে ওঠেন। দল বেঁধে পরিবারের লোকজন পাপমোচনে পূণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করেন।

 এ ছাড়াও স্নান উপলক্ষে বসে ছোট খাট মেলা। পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।

স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে পূণ্যার্থীরা মূল পয়েন্ট চিলমারী নৌবন্দরে স্নান করতে না গিয়ে ব্রহ্মপূত্র নদকে ঘিরে চিলমারী উপজেলার ফকিরেরহাট, পুটিমারী, জোড়গাছসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বেষ্টনি ফাঁকি দিয়ে ছোট ছোট দলে অষ্টমীর স্নানে অংশ নেয়।প্রতিবছর অষ্টমীর স্নানে ৫ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ অংশ নেয়।

একই দৃশ্য ঘটেছে উত্তরের জনপদ জেলা রংপুরে।এ বছর করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও জনসমাগম রোধে চিলমারী উপজেলা প্রশাসন এই স্নান উৎসব বাতিল করেছে। তারপরও  লোক সমাগম কম হয়েছে।

চিলমারী সদরের এলএসডি মোড়ের সৌরভ রায়, সবুজ পাড়া এলাকার সঞ্জয় কুমার সরকার ও উজ্বল কুমার জানান, মহামারি করোনা ঠেকাতে দেশে যখন সকল মানুষকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে।  

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ জানান, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় সমবেত হওয়া মানুষদেরকে সরিয়ে দিয়েছি। এখন বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান করছে।

এস এস

একই ধরণের সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন