সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আলোচিত ফুটবলার মাসুম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের স্বজনরা।
সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে শহরের পুরাতন শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন, নিহতের ছোটবোন মামলা বাদী তমা আক্তার।
তিনি বলেন, তার শ্বশুড়বাড়ির নিজস্ব উঠান দিয়ে পাশের বাড়ির সুরুজ আলী ও তার ছেলেরা জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার জন্য প্রায় সময়ই হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন। তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে বর্তমান জগন্নাথপুর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাফরোজ ইসলাম মুন্নার। গত ১৬ এপ্রিল কাউন্সিলর সাফরোজ ইসলাম মুন্নার নেতৃত্বে দুপুরে আমাদের বাড়িতে এসে আমার ভাই মাসুমকে ঘুম থেকে ডেকে উঠানে নিয়ে বাশেঁর বেড়া তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলে মাসুম তা প্রত্যাখান করেন।
এ সময় কাউন্সিলর সাফরোজ ইসলাম মুন্নার নেতৃত্বে সুরুজ আলী, তার ছেলে রুবেল মিয়া ও নাজমুল হক লিয়নসহ ১৫/২০ জন লোক লোহার রড ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে মাসুমের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করলে সে সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মাসুমকে প্রথমে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তমা আক্তার বাদি হয়ে গত ১৯ এপ্রিল জগন্নাথপুর থানায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ৯।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জগন্নাথপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মো. সুহেল আহমদ, নিহতের মামা মো. আলী আহমদ, যুবলীগ নেতা সাবুল মিয়া প্রমুখ।
এএ/সিবি/এডিবি/