ন্যাভিগেশন মেনু

ফের শুরু হলো প্রথম ডোজ টিকা


টিকা অভাবে দেশে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজার ও চিনের উপহার সিনোফার্মের টিকা দিয়ে শুরু হয়েছে গণটিকাদান।ভারতে করোনা ভয়াবহ ধারণ করায় সেরাম চুক্তি অনুযায়ী টিকা সরবরাহে ব্যরথ হয়।

এরপর বাংলাদেশ টিকা পেতে বাজার অনুসন্ধ্যানে নামে।পাওয়ার পর বাংলাদেশে দ্বিতীয় ধাপের টিকাদান শুরু হলো।ফাইজার টিকা সাতটি কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে। সিনোফার্মের টিকা দেশের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, সদর হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ফাইজারের টিকা না পেয়ে ঢাকা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিক্ষোভ করেছেন প্রবাসীরা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘তাপমাত্রার কারণে ফাইজারের টিকা পরিবহন করা কঠিন তাই আমরা কেবল রাজধানী ঢাকায় সাতটি কেন্দ্র নির্ধারণ করেছি।

এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।’তিনি বলেন, ‘অভিবাসী কর্মীদের টিকা নিতে গেলে অবশ্যই জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে তারপর আমাদের টিকা কার্যক্রমে আসতে হবে।

জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো প্রবাসী কর্মীদের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। অ্যাপের পাশাপাশি প্রতিটি জেলায় জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর অফিস থেকে অভিবাসীরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো রেজিস্ট্রেশন করার পর অভিবাসী কর্মীকে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নিতে হবে।

সুরক্ষা অ্যাপ থেকে পাওয়া টিকা কার্ড ছাড়া কেন্দ্রে গেলে দেওয়া সম্ভব হবে না।’ ইতিমধ্যে ২ লাখ প্রবাসীর তালিকা পেয়েছেন জানিয়ে শামসুল হক বলেন, ‘রবিবারের মধ্যে সে তালিকা যাচাই শেষ হবে। সোমবার রাত থেকে এসএমএস যাবে এবং মঙ্গলবার থেকে তারা টিকা নিতে পারবেন।’ রাজধানীর সাতটি কেন্দ্রে কুয়েত ও সৌদি প্রবাসীদের ফাইজার টিকা প্রয়োগের উদ্বোধন করা হয় গতকাল বৃহস্পতিবার।

উদ্বোধনের দিনেই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আসা প্রবাসীরা টিকা না পেয়ে বিক্ষোভ করেন। বেলা ১১টায় হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায় আন্দোলনরত প্রবাসীরা টিকা চাই, টিকা চাই স্লোগান দেন।

এস এস