বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ভোটযুদ্ধে নেমেছে বউ-শাশুড়ি। তাদের প্রচারনায় জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। ছোট ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে শাশুড়ি আর স্বামী ও ননদকে সাথে নিয়ে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন ছেলের বউ।
একই বাড়ীতে প্রতিদ্বন্দ্বী বউ-শাশুড়ির ভোটযুদ্ধ নিয়ে ভোটারদের মাঝে চলছে ব্যাপক আলোচনা।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি পৃথকভাবে ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বগুড়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, দুই ছেলেকে নিয়ে শহরের ঠনঠনিয়াতে একই বাড়িতে থাকেন বগুড়া পৌরসভার ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডে তিনবারের নির্বাচিত নারী কাউন্সিলর খোদেজা বেগম। একসাথে থাকলেও তাদের রান্নাবান্না আলাদা। বরাবরের মতো এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। খোদেজার ভোট ক্যাম্পেইনে বরাবরই সক্রিয় ছিলেন তার বড় ছেলে আলমগীরের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা লিমা। কিন্তু এবার সেই শাশুড়িকে হারাতেই মাঠে নেমেছেন লিমা।
ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকে ভোটের মাঠে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আর এই ভোটযুদ্ধের কারনেই তাদের স্বজনরাও এখন দুই প্রার্থীর পক্ষে বিভক্ত হয়ে প্রচারনায় অংশ নিচ্ছেন।
মা খোদেজা বেগমের সাথে আছেন তার ছোট ছেলে জাহাঙ্গির হোসেন, বড় মেয়ে আসমা এলাহীসহ স্বজনরা। আর রেবেকা সুলতানা লিমার পক্ষে ভোটের মাঠে আছেন স্বামী আলমগীর হোসেন, ননদ নাজমা আক্তারসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজন।
পৌরসভায় ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে খোদেজা বেগম জবা ফুল আর লিমা পেয়েছেন চশমা প্রতীক।
খোদেজা বেগম বলেন, টানা ১৭ বছর ধরে আমি সাধারণ ও গরীব মানুষের পক্ষে কাজ করেছি। তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছি। এসব কাজকর্মের প্রতিদান এবারও ভোটাররা তাকে দেবেন বলে তার বিশ্বাস। পুত্রবধূ তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তা নিয়ে আপাতত ভাবছেন না। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
কাউন্সিলর প্রার্থী পুত্রবধু রেবেকা সুলতানা লিমা বলেন, দীর্ঘদিন তিনি ওয়ার্ডবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। তাতে তিনি ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
খোদেজার বড় ছেলে আলমগীর হোসেন বলেন, তাদের মা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় কয়েক মাস আগেই এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছিলেন লিমাকে তখন থেকেই প্রস্তুতিও নিতে থাকেন তারা। একই এলাকা থেকে শাশুড়ির বিরুদ্ধে প্রার্থী হলেও তার জয়ের ব্যাপারে তাকে কোনো বাধা মনে করছেন না।
একই ওয়ার্ডে আরও যারা প্রার্থী রয়েছেন তারা হলেন, ফাতেমা বেগম ছন্দ (আংটি), রাবেয়া খাতুন (টেলিফোন), আফরোজা আক্তার রিমা (আনারস), বিলাসী রানী সরকার (অটোরিকশা), শাহিনুর (দ্বিতল বাস)।
এএসবি/এসএ/এডিবি
