ন্যাভিগেশন মেনু

টিআইবির কথা একপেশে, তারা বিএনপির ওকালতি করে : ওবায়দুল কাদের


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, টিআইবি হচ্ছে বিএনপির দালাল। তাদের প্রত্যেকটা কথা একপেশে, বিএনপির ওকালতি করে তারা। তারা সরকার বিরোধী। যে ভাষায় বিএনপি কথা বলে সেই ভাষায় টিআইবিও কথা বলে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি)  দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংযে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাস থেকে উপলব্ধি করেছি, টিআইবি সব সময় আওয়ামী লীগ বিরোধী ছিল। সব সময় বিএনপির পক্ষে কাজ করেছে তারা। গবেষণা নিয়ে কাজ করে তারা। কিন্তু তাদের গবেষণায় আমরা নিরপেক্ষতা খোঁজে পাচ্ছি না। টিআইবি বলেছিল, পদ্মা সেতু অসম্ভব। সিপিডিও একই মন্তব্য করেছিল। কিন্তু বাস্তবতা কী দেশবাসী দেখেছে। 

তিনি বলেন, দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে। একশ মারা গেলে পাঁচশ বানিয়ে দেয়। টিআইবিও তাদের মতো। এই টিআইবি বলেছিল পদ্মা সেতু অসম্ভব। একই সঙ্গে সিপিডিও বলেছিল। মামলা করে সবকিছুর সমাধান হয় না। কিছু কথা বলা হয় পাবলিক পারসেপশনের জন্য। মামলা দিয়ে সবকিছু সমাধান হয় না, তাদেরকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে। কথা বা তর্কের মাধ্যমে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। 

বাংলাদেশে গণতন্ত্র অপরিহার্য কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় যাওয়া, ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া— এই পদ্ধতির নাম পলিটিক্স। পলিটিক্স কীভাবে পরিচালিত হবে এর উত্তম ব্যবস্থা— বিশ্ব স্বীকৃত গণতন্ত্র। কাজেই এর কোনও বিকল্প নেই।


বিএনপি'র আন্দোলন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির বর্তমান অবস্থা কবি জসীমউদ্দিনের কবর কবিতার মতো— তারপরে এই শূন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি,/ যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে কোন্দল বিষয়ে তিনি বলেন, দুই-একজনের ভাষাটা আমাদের নেত্রীরও দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে কথাও বলেছেন। আমিও বলতে চাই, তাদের সাথে মতবিরোধ মিটিয়ে ঐক্য গড়ে তোলা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা একটা রাজনৈতিক দল। আমাদের পার্টির এই নির্বাচনকে সামনে রেখে একটা কৌশল ছিল। রাজনীতিতে রণকৌশল থাকবেই। আমরা একটা রণকৌশল নিয়েছিলাম। আমাদের দলের ভেতরে সমস্যা, আন্তকলহ হচ্ছে— এটা নতুন না। সব রাজনৈতিক দলেই দ্বন্দ্ব, অন্তকলহ থাকতে পারে। আমাদের দল নিয়ে আপনাদের এত মাথা ব্যথা কেন? আমাদের দল তো এগিয়ে যাচ্ছে। একাধারে ১৫ বছর আমরা পাওয়ারে (ক্ষমতায়)৷ আমরা সব কিছু মোকাবিলা করে, চলার পথে এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ। আমাদের নেতৃত্ব, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রশ্নে আমাদের কোনও দ্বিধা নেই, বিরোধ নেই। আওয়ামী লীগের সুবিধাটা ওখানেই।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বাস্তবমুখী কর্মসূচি নেবো, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবাইকে কাজ করতে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে শুরু করেছি।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ খোকন, পারভীন জামান কল্পনা, মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।