ন্যাভিগেশন মেনু

বিদেশি হুমকিতে ব্যবসায়ীরা ভয় পায়নি: সিএমপি কমিশনার

'মেট্রোপলিটন চেম্বারে মাসব্যাপী ৮ম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলা শুরু'


চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেছেন, দেশের অর্থনীতির সাথে দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের একটি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসার সাথে যারা জরিত তাদেরও অর্থনীতিতে ভুমিকা রয়েছে। সেই ব্যবসায়ীদের কিভাবে দেশিয় নানা জটিলতা তৈরির ম্যাধ্যমে এবং আন্তর্জাতিকভাবে কিভাবে তাদের নাস্তাবুদ করা হয় সেটা আমরাও দেখছি। তারপরেও ব্যবসায়ীরা এগিয়ে যাচ্ছে। নানা প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি হুমকিতে ব্যবসায়ীরা ভয় পায়নি। আর সেই উদাহরণ হলো এ ধরণের বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা। পুলিশ প্রশাসন থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি বলেই ব্যবসায়ীরাও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজনের সাহস করেছে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর হালিশহর আবাহনী মাঠে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিএমসিসিআই) আয়োজিত মাসব্যাপী ৮ম বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রপ্তানি মেলার (বিআইটিইএফ-২০২৩) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১২ জানুয়ারী পর্যন্ত মাসব্যাপী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। সিএমসিসিআই সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এবং সিএমসিসিআই সহ-সভাপতি এমএ মালেক।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইটিইএফ-২০২৩ এর আহ্বায়ক এম আবদুস সালাম, সহ-সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী, সহ-সভাপতি (ফরেন ট্রেড এন্ড ইনভেষ্টমেন্ট) আই মাহমুদ রাসেল, পরিচালক প্রফেসর জাহাঙ্গীর চৌধুরী, পরিচালক এম. সোলায়মান, পরিচালক অজিত কুমার দাশ এবং বিএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের স্থিতিশীল পরিস্থিতি কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে তার জন্য তিনি ব্যবসায়ীদের সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান এবং মেলা যেন সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হতে পারে তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। 

সভাপতির বক্তব্যে খলিলুর রহমান বলেন, ২০১৪ সাল থেকে মেট্রোপলিটন চেম্বার এই মেলার আয়োজন করে আসছে। মাঝে একবার করোনার কারণে বিরতি দিয়ে হয়েছিল। এছাড়া এই মেলা বরাবরের মতো আবাহনী মাঠে আয়োজন করা হলেও মাঝে ভেন্যু পরিবর্তন করতে হয়েছিল। কারণ ওই সময় আবাহনী মাঠে আসার সড়ক ব্যবস্থা নাজুন ছিল।

তিনি আরো বলেন, সবাইকে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে। এটি একটি আন্তর্জাতিক মেলা। এই মেলা বেচা-কেনার মেলা নয়। কারখানা উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনের জন্যই এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় প্রদর্শীত পণ্য দেখে দেশি-বিদেশিরা ভবিষ্যতে আমাদের উৎপাদিত পণ্য অর্ডার করবে, সেই উদ্দেশ্যেই এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলার মাধ্যমে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে একটি যোগাযোগ তৈরি হয়।অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ঢাকায় আন্তর্জাতিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু থাকলেও চট্টগ্রামে সেরকম কোন ব্যবস্থা নেই। তাই খেলার মাঠকে মেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে হয়। 

তাই সরকারের প্রতি অনুরোধ, বাণিজ্যিক রাজধানীতে একটি আন্তর্জাতিক মেলা আয়োজন করার মতো স্থায়ী ভেন্যুর ব্যবস্থা করা হোক। মেলার বিশেষ অতিথি এম.এ মালেক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ করে মুক্তিযুদ্ধে তার পরিবারের অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করেন। সহ-সভাপতি ডব্লিউ.আর.আই মাহমুদ রাসেল বলেন, আগামীতে সিএমসিসিআই আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় বিদেশী স্টল এবং প্যাভিলিয়ন অংশগ্রহণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং এই মেলায় কিছু বিদেশী স্টল অংশগ্রহণ করবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন। 

মেলার আহ্বায়ক এম আবদুস সালাম বলেন, মেলার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করে বলেন, এবারের মেলায় ছোট বড় প্রায় ২০০টি দোকান রয়েছে। উন্নতমানের খাবারের দোকানের পাশাপাশি রয়েছে শিশুদের জন্য কিডস জোনের ব্যবস্থা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপনের জন্য ফায়ার সর্ভিস থেকে একটি গাড়ি সার্বক্ষণিক মেলায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাপনী বক্তব্যে এ. এম. মাহবুব চৌধুরী মেলা যেন সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হয় তার জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।