ন্যাভিগেশন মেনু

বিয়ে করে ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেলেন পরকীয়া প্রেমিক


বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে তবেই ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেলেন পরকীয়া প্রেমিক। শুধু তাই নয়, নারীর কথামতো ১০ লাখ টাকা দেনমোহরও দিতে হয়েছে।

পরকীয়া প্রেমিক একজন পুলিশ কনস্টেবল। তার নাম সাইদুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে কর্মরত আছেন। তার আরও একজন স্ত্রী রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যার পর শহরের একটি কাজী অফিসে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, পুলিশ কনস্টেবল সাইদুল ইসলামের সাথে রংপুরের এক নারীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। সাইদুল ইসলামের স্ত্রী থাকার পরেও তিনি ওই নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বগুড়া শহরের ফুলদীঘি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সেখানে কিছুদিন বসবাসও করেন। 

তবে সত্য বেশী দিন গোপন থাকেনি। তার প্রথম স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে সেই ভাড়া বাড়িতে চলে যান। কিন্তু সেখানে কাউকে পাননি। পরে ওই নারীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তার সাথে যোগাযোগ করেন।

সাইদুলের প্রথম স্ত্রী থাকার বিষয়টি জানতে পেরে গত বুধবার (২৯ জুলাই) রংপুর থেকে ওই নারী বগুড়ায় আসেন। এরপর সাইদুলের সাথে দেখা করেন এবং তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার দাবী জানান।

সাইদুল তাকে অস্বীকার করলে তিনি চলে আসেন বগুড়া সদর থানায়। তিনি সাইদুলের নামে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের বিষয়ে থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন। ওই নারীকে রাতে থানায় রেখে সাইদুলকে ডেকে আনা হয়। সাথে আসেন সাইদুলের স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি। 

কিন্তু কোন মীমাংসা না হওয়ায় ওই নারী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ দুই পক্ষকে ডেকে তাদের জবানবন্দী গ্রহন করেন। সেখানে সাইদুল ইসলাম বিয়ে করতে চাইলেও ওই নারীর দাবী ১০ লাখ টাকা দেন মোহরানা করতে হবে। 

কিন্তু সাইদুল তাতে রাজী না হওয়ায় ওই নারী সেখান থেকে চলে যান এবং ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি নেন। পরে ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেতে ওই নারীকে ১০ লাখ টাকা দেন মোহরানায় বিয়ে করেন।

এডিবি/