ন্যাভিগেশন মেনু

বুধবার থেকে কড়া লকডাউন, আওতামুক্ত চান পোশাক মালিকরা


খবর আগেই বেড়িয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ মারাত্মক বেড়ে যাওয়ায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। সরকার বলছে, একমাত্র জরুরি সেবা ছাড়া রপ্তানি খাতের পোশাকশিল্পসহ সব কলকারখানা, শপিংমল, দোকানপাট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান এ সময় বন্ধ থাকবে।

এই লকডাউনে আন্তর্জাতিক রুটে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এ মফিদুর রহমান আজ  রবিবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে লকডাউন সংক্রান্ত সরকারের নির্দেশনার ওপর।

তিনি বলেন, ‘কঠোর লকডাউনের কারণে যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে যাত্রীদের বিমানবন্দরে পৌঁছাতে সমস্যা হবে। ফলে দেখা যাবে যাত্রীরা হয়তো তাদের নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারছেন না।

এর আগে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী সাতদিনের বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরোপ করে সরকার। এতে অভ্যন্তরীণ রুটে সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় বেবিচক। লকডাউন নিয়ে সরকারের এমন পরিকল্পনায় আপত্তি জানিয়েছে, রপ্তানি খাতের পোশাক ও বস্ত্রশিল্প মালিকরা। পোশাকশিল্প মালিকরা বলছেন, প্রতিযোগী দেশগুলোর মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখতে চান। 

এ প্রসঙ্গে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম মিডিয়াকে বলেন, আমরা চাই জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে হবে। এই সময়ে লকডাউনে কারখানা বন্ধ হলে পোশাকশিল্পে বড় বিপর্যয় আসবে। শ্রমিক অসন্তোষ হবে। 

কারণ, ঈদের আগে ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ মোতাবেক পণ্য সরবরাহের ব্যাপক চাপ রয়েছে। 

পোশাকশিল্প মালিকদের আরেক প্রভাবশালী সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহ-সভাপতি মশিউল আজম সজল জানান, ঈদের আগে এই মুহূর্তে লকডাউনে কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করবেন। 

কিন্তু তারা এখন কারখানায় থাকলে অন্ততপক্ষে প্রতিদিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজে নিয়োজিত থাকছেন। কারখানাগুলো এই সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলছে। প্রতিদিন তাপমাত্রা চেক করে কারখানায় ঢুকছেন শ্রমিকরা। আবার শ্রমিকরা কারখানায় গেলে, তাদের জীবন ও জীবিকার বিষয়টিও সচল থাকছে।

এস এস