ন্যাভিগেশন মেনু

বড়াইগ্রামে ভাগ্নেকে অপহরণকারী মামা আটক


নাটোরের বড়াইগ্রামে টাকার লোভে আট বছর বয়সী ভাগ্নে আলহাজ্বকে অপহরণের দায়ে মামাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক কামরুল হাসানের (২৫) বাড়ি বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীকোল এলাকার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য তুলে ধরেন নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা।

সংবাদ সম্মেলনে নাটোরের পুলিশ সুপার বলেন, অল্প সময়ে ধনী হতে নাটোরের বড়াইগ্রামের লক্ষীকোল এলাকার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে কামরুল তার বন্ধু বগুড়ার দুপচাচিয়ার বাসিন্দা রুবেলের সাথে পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২১ আগস্ট সকালে কামরুল তার প্রাইভেটকারে বাড়ির সামনে থেকে নতুন কাপড় ও চকলেটের লোভ দেখিয়ে আলহাজ্বকে অপহরণ করে কামরুল। পরে ওইদিনই কামরুল সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড় এলাকায় ঢাকা থেকে আসা তার সহযোগী জেল খানায় পরিচিত বন্ধু রুবেলের কাছে আলহাজ্বকে তুলে দিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।

পরে, কামরুল ও রুবেল অপহৃতের বাবা আক্তার প্রামানিকের কাছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এদিকে আলহাজ্ব অপহৃত হওয়ার পরে অপহৃতের বাবা আক্তার প্রামানিক বড়াইগ্রাম থানায় এজাহার দাখিল করলে উদ্ধার কাজে নামে পুলিশ।

পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীকোল এলাকা থেকে গত ২২ আগস্ট রাত ১০টার দিকে অপহৃতের চাচাতো মামা কামরুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বগুড়ার দুপচাচিয়ায় রুবেলের স্ত্রী আকলিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

পরে আকলিমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকায় রুবেলের শাশুড়ির অবস্থান শনাক্ত করে তার বাসা থেকে অপহৃত আলহাজ্বকে কিছুটা অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

তবে বিষয়টি টের পেয়ে রুবেল অভিযানের আগেই বাসা থেকে পালিয়ে যায়। উদ্ধারের পর শিশু আলহাজ্বকে ঢাকার রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসপি লিটন কুমার সাহা বলেন, রুবেলকে দ্রুত আটক করা হবে। রুবেল আন্তর্জাতিকমানের একজন ডাকাতদলের সদস্য এবং তার নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেআর/এসএ/এডিবি/