ন্যাভিগেশন মেনু

ভোটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হতে পারে : প্রধানমন্ত্রী


আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেছেন, শুধুমাত্র ভোট এবং নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করা যেতে পারে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) নগরীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই জনগণের ভোটাধিকার অব্যাহত থাকুক এবং ভোটের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হতে পারে।’

নির্বাচন বানচালের জন্য যারা অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের প্রতিহত করতে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘সুতরাং, যারা সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বানচালের চেষ্টা করছে তাদের সম্পর্কে জনগণকে সচেতন থাকতে হবে।’

পাশাপাশি যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।

সরকার প্রধান বলেন, যেসব রাজনৈতিক দলের জনগণের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস নেই এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে সুসংগঠিত নয়, তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।

তিনি উল্লেখ করেছেন, নির্বাচন বানচাল একটি দেশের জন্য চরম ক্ষতির কারণ হতে পারে।

২০১৩ এবং ২০১৪ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে জীবন ও সম্পদের ক্ষতির কথা উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে জীবন ও সম্পত্তি ধ্বংস করা কোন ধরনের রাজনীতি?’

অনুষ্ঠানের শুরুতে আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।

এরআগে গণভবন থেকে প্রাইভেটকারে চড়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন শেখ হাসিনা।
পরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে সরকারি গাড়িতে করে বঙ্গভবনে যান তিনি।

২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের এই ধারাবাহিকতার কারণে অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন সম্ভব হয়েছে।

যারা অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে তাদের প্রতিহত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি দেশের জনগণকে তাদের প্রতিহত করার জন্য অনুরোধ করব।’

হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পরিবেশ ও কর্মকান্ড ধ্বংস করা হচ্ছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আমোদ-ফূর্তি করে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না। তিনি বলেন, ‘কেউ যদি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে এবং অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে যায়, তাহলে তা তাদের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্বাচনে ভোট দেওয়া এবং পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়া জনগণের অধিকার।’

দেশের জনগণ তাদের শাস্তি দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশাল সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত দেশের অব্যাহত গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করতে না দিতে আমি জনগণের প্রতি আহ্বান জানাব।

শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, যারা জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে এবং সেই উদ্দেশে অগ্নিসন্ত্রাস চালাবে তাদের জনগণ প্রতিহত করবে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা মনোনয়ন ফরম নিচ্ছেন, তারা সবাই যোগ্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

তিনি বলেন, ‘তবে আগামী নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই করা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের কাজ। প্রার্থী বাছাইয়ের আগে আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকেও মতামত নেব।’

এরআগে তিনি আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির বুথ পরিদর্শন করেন।