২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস প্রায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে সংশোধিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের তৈরি এই পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পাঠানো হয়েছে এবং তা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যমকে বলছেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নবম শ্রেণিতে পাঠদান করা সম্ভব হয়েছে কিন্তু দশম শ্রেণিতে পাঠদান সম্ভব হয়নি। এইচএসসির ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে। সে বিবেচনা থেকেই সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।'
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি এসএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছিল ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আপত্তি ওঠে। প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তিন বা চার মাসের মধ্যে শেষ করা সম্ভব নয় বলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান।
জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি এনসিটিবিতে কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে কর্মকর্তাদের এসএসসির ৬০ দিন এবং এইচএসসির ৮৪ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করার নির্দেশ দেন।
ওই বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আগামী ৯ মে এসএসসির এবং ১৫ জুন এইচএসসির সব ক্লাস শেষ করতে হবে এবং জুনে এসএসসি ও জুলাই বা আগস্টে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে যতটুকু পড়ানো যাবে ততটুকু সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হবে। এ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে।
এডিবি/
